• Alipore Court: আলিপুরে আদালত চত্বর থেকে অপহরণ!
    এই সময় | ১১ জানুয়ারি ২০২৪
  • অপহৃতকে উদ্ধার না করা পর্যন্ত খোলা থাকবে আদালত। আক্ষরিক অর্থেই ডেডলাইন দিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি। শেষ পর্যন্ত সেই হুঁশিয়ারিতেই কাজও হলো। তবে তার আগে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে গেল আলিপুর আদালতে। জামিন নিতে আসা ব্যক্তিকে আদালত চত্বর থেকেই মারধর করে অপহরণ করার প্রতিবাদে বুধবার আদালতে সওয়াল বন্ধ করে দেন আইনজীবীরা।বিচারক বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশকে অবিলম্বে অপহৃতকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ আদালতে জানায়, অপহরণ নয়, তাঁরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁকে বিচারকের সামনে পেশ করা হবে। ফলে এদিনের মতো সমস্যা মেটে। আজ, বৃহস্পতিবার ফের ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মামলাটি বাঁশদ্রোণী থানা এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত প্রধান এবং তাঁর স্ত্রী শিপ্রা প্রধানের মধ্যে গোলমাল। শিপ্রা প্রধান এদিন আলিপুর আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করতেন।তিনি বলেন, ‘সন্তানের স্বার্থে গত ২০ বছর আমি স্বামীর বাড়িতে পড়েছিলাম। এখন সন্তান বড় হয়েছে। অত্যাচার আর সহ্য করবো না বলে আমি স্বামীর ঘর ছেড়েছিলাম। আসার সময়ে আমি লিখে দিয়ে এসেছিলাম যে, ওই বাড়ির প্রতি আমার কোনও দাবি নেই। আমি স্বেচ্ছায় ওই বাড়ি ছেড়ে এসেছি।’ অভিযোগ, এর পরেই শিপ্রা, এবং সুদীপ্ত মাইতি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৮টি মামলা দায়ের করেন জয়ন্ত।আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সেই মামলাতেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। ফলে শিপ্রা, সুদীপ্ত এবং অন্য অভিযুক্ত আলিপুর আদালতে জামিন নিতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ কেস ডায়েরি না পাঠানোয় জামিনের শুনানি হয়নি। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) কৌশিক দে কেস ডায়েরি চেয়ে পাঠান। শুনানি না হওয়ায় অভিযুক্তেরা আদালত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন।শিপ্রা বলেন, ‘ওই সময়ে কয়েকজন লোক সুদীপ্তকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। জোর করে গাড়িতে তুললে আমিও গাড়িতে ওঠার চেষ্টা করি। আমাকে ঠেলে নামিয়ে দিয়ে ওরা চলে যায়।’এই ঘটনা জানাজানি হতেই হুলুস্থুল পড়ে যায় আদালত চত্বরে। যাঁরা সুদীপ্তকে অপহরণ করেন, তাদের মধ্যে পুলিশও ছিল বলে অভিযোগ। আইন অনুযায়ী আদালত থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে সিজিএমের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। আলিপুর ক্রিমিনাল কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক সুব্রত সর্দার জানান, ঘটনার প্রতিবাদে সব আইনজীবীরা সিজেএম-এর এজলাসে সওয়াল বন্ধ করে দেন।সিজেএম নির্দেশ দেন বাঁশদ্রোণী থানার ওসি এবং মামলার তদন্তকারী অফিসার যতক্ষণ পর্যন্ত না অপহৃতকে উদ্ধার করছে, ততক্ষণ আদালত খোলা থাকবে। শেষ পর্যন্ত পুলিশ জানায়, সুদীপ্তের নামে অনেক মামলা রয়েছে। সেই মামলাতেই তাঁকে এদিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেটা কোর্ট চত্বর নয়, গোপালনগর এলাকা থেকে। আইনজীবীরা অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান-সহ সিজেএম-এর কাছে এদিনের অপহরণ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার তার শুনানি হওয়ার কথা।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান?'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)