• মুইজুর বিদেশনীতির প্রতি নজর রাখছে দিল্লি
    আজকাল | ১১ জানুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য, নয়া দিল্লি: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করতে সরকারের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করার দাবি তুললেন মালদ্বীপের বিরোধী দলনেতা এবং মালদ্বীপ ডেমিক্র্যাটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট ফ্যায়াজ ইসমাইল। তিনি বলেছেন, এই ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য এমন কিছু ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মত, যাঁদের সরকার পদে বসিয়েছে। বিষয়টিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন ফ্যায়াজ ইসমাইল। সামাজিক মাধ্যমে কীভাবে সেই মন্তব্য ভাইরাল হয়ে ভারত এবং মালদ্বীপে ছড়িয়ে পড়েছে সেই বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি।ফ্যায়াজ ইসমাইলের কথায়, "আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এই বিষয়ে সরকারের কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত। কারণ, এই বিষয়টি দুই দেশের সরকারের অনেক বাইরের বিষয় হয়ে গিয়েছে। এখন, সামাজিক মাধ্যমের ব্যাপক ব্যবহারের ফলে, এই মন্তব্য মালদ্বীপ এবং ভারতের বহু মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। যেহেতু দুই দিক থেকেই বাক বিতণ্ডা হচ্ছে, সেই কারণে দুই তরফেই অনেক অপমানজনক মন্তব্য হচ্ছে। ফলে, সরকারের উচিত এই বার্তা দেওয়া যে, এই বিষয়ে সরকারের কোনও যোগ নেই। যে সমস্ত ব্যক্তিদের সরকারের বিভিন্ন পদে বসানো হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত এই মন্তব্য সেই সমস্ত ব্যক্তিদের বিচ্ছিন্ন মতামত। ফলে সেই বিষয়টি ভারত এবং মালদ্বীপের বাসিন্দাদের স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে, একইসঙ্গে সারা বিশ্বকেও।" প্রতি বছর ভারতীয়দের একটা বড় অংশ মালদ্বীপে যান। ফলে পর্যটন ক্ষেত্র থেকে বড় অঙ্কের রাজস্ব আয় করে মালদ্বীপ। বয়কট মালদ্বীপ ট্রেন্ড চালু হওয়ায় অনেকেই মালদ্বীপ সফর বাতিল করে লাক্ষাদ্বীপ যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। এই বিষয়ে ফ্যায়াজ ইসমাইলের বক্তব্য, রাজস্ব বা অর্থনীতির থেকেও এই বিষয়টি অনেক বড়। তিনি বলেন, "দুই দেশের অনেক পরিণত নেতাদের মাধ্যমে ভারত ও মালদ্বীপের সম্পর্কে গড়ে উঠেছে। ফলে একটা দুটো টুইটের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক নষ্ট করা খুবই দুঃখজনক।" বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, "আমার তরফে বলতে গেলে, এই বিষয়টি দুই দেশের সরকারেরও বাইরে চলে গিয়েছে।" তাঁর মতে, ভারত ও মালদ্বীপ যেই হোক না কেন, ক্ষমতায় বদল হলে মতের পার্থক্য তৈরি হবেই। কীভাবে দুই দেশের সম্পর্ক পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায়, সেই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।এদিকে, সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরেই ভারতে আসতে চেয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু। সূত্রের দাবি, "১৭ নভেম্বর মহম্মদ মুইজুর শপথ গ্রহণের আগে মালদ্বীপের তরফে ডিসেম্বরে ভারত সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। যদিও সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এখনও পর্যন্ত ভারতের তরফে জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে মালদ্বীপ সরকার।" তবে সূত্রের দাবি, ভারতের তরফে জবাব দেওয়া হলেও প্রথমে দিল্লিতে পা রাখতেন না তিনি। কারণ, তার আগে জলবায়ু সম্মলনে যোগ দিতে তুরস্কে পা রেখেছেন মহম্মদ মুইজু। তবে সেটা জলবায়ু সম্মেলন ছিল। ফের একবার ভারত সফরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে মালদ্বীপের তরফে। সূ্ত্রের খবর, বেজিং থেকে ফিরে দিল্লিতে পা রাখতে চান মহম্মদ মুইজু। যদিও চীনাপন্থী নেতা মুইজুর বিদেশনীতির দিকে নজর রাখছে দিল্লি। সব দিক বিবেচনা করে তবেই মালদ্বীপকে জবাব দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।
  • Link to this news (আজকাল)