জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল: কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট। ইতিমধ্য়েই এনিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন দল। তার মধ্যেই বিদ্রোহের আঁচ গেরুয়া শিবিরে। পাহাড়ের কাউকে প্রার্থী না করা হলে নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই করার হুঁশিয়ারি দিলেন কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে বর্তমানে সাংসদ বিজেপির রাজু সিং বিস্তা। ফলে বিষ্ণুপ্রসাদ তাঁর বিরুদ্ধেই কার্যত ক্ষোভ উগরে দিলেন। বিষ্ণুপ্রসাদের ঘোষণা, বছরের পর বছর বহিরাগতদের পাহাড়ে প্রার্থী করা হচ্ছে। জেতার পর তাদের আর পাহাড়ে দেখা যায় না। এটা যেন একটা খেলার মাঠ হয়ে গিয়েছে। দিনের পর দিন এজিনিস চলতে পারে না। পাহাড়ে প্রার্থী করতে হবে কোনও ভূমিপুত্রকেই। নেতারা জানতে চাইলে এটাই বলবেন। দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার তা নেবে। তিনি তাঁর সিদ্ধান্তে অনড়।সংবাদমাধ্যমে বিষ্ণুপ্রসাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটা কথা আমি বিশ্বাস করি। সেটি হল ভোকাল ফর লোকাল। প্রধানমন্ত্রীর ওই স্লোগানটাকে যদি আমরা তুলে ধরতে চাই তাহলে রাজনীতিতে তা আমরা প্রয়োগ করব না কেন? আমি চাই দার্জিলিংয়ের প্রার্থী হোন কোনও ভূমিপুত্র। এরকম কাউকে দেওয়া হলে আমি তার জন্য প্রচার করব। তা না হলে আমি আমার পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধেই মনোনয়ন জমা দেব। আর এসব চলবে না।দলের বিধায়কের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। তার বক্তব্য দার্জিলিংয়ের সাংসদ অত্যন্ত কাছের মানুষ। দার্জিলিংয়ের জন্য তিনি অনেক কিছু আদায় করে এনেছেন। কারুর মতামত থাকলে দলের মধ্যে জানাতে পারেন। যারাই দল করেন তাদের দলের নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।এনিয়ে তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, এটা বিজেপির নিজস্ব ব্যাপার। আমার বলার কথা নয়। তবে এটা বলব, তিনটে লোকসভা নির্বাচনে বাইরে থেকেই তাঁরা প্রার্থী নিয়ে এসেছেন। রাজ্যের বাইরের লোকদের তারা প্রার্থী করেন। তারা পাহাড়ের মানুষের জন্য ইতিবাচক কিছু করতে পারেননি। রাজ্যের মানুষ দার্জিলিংয়ের মানুষের আবেগ বোঝেন না। কার্শিয়াংয়ের বিধায়ক সেই একই কথা বলছেন। এটাই বাস্তব।সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এনিয়ে বলেন, লোকসভার প্রার্থীতালিকাই এখনও ঠিক করতে পারেনি বিজেপি। তার মধ্যেই বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেল? নীতিহীন একটা দল যে ভাবে চলে তাতে মানুষ বুঝতে পারছে বিজেপির উপরে ভরসা করা যায় না।