ধেয়ে আসছে উত্তরের হিমলে হাওয়া, হু হু করে নামবে পারদ
২৪ ঘন্টা | ১১ জানুয়ারি ২০২৪
অয়ন ঘোষাল: রাজ্যে কাল থেকে শুরু হচ্ছে শীতের দ্বিতীয় ইনিংস। আগামী ৭২ ঘন্টায় উত্তরবঙ্গে ২-৪ ডিগ্রি, পশ্চিমাঞ্চলের জেলায় ২-৪ ডিগ্রি এবং কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গে ২-৩ ডিগ্রি পারদ পতনের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত বইছে রাজ্যের ওপর দিয়ে। ফলে আজ থেকে পরিষ্কার মেঘ মুক্ত আকাশ। অবাধে প্রবেশ করবে উত্তর পশ্চিম ভারতের হিমেল হাওয়া।
শীতের এই দ্বিতীয় ইনিংস কমপক্ষে ৫-৬ দিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবারের মধ্যে কলকাতায় পারদ নামতে পারে ১৪ ডিগ্রি বা তার নিচে। পশ্চিমের জেলায় ৯-১০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছাতে পারে পারদ। দার্জিলিং কালিম্পং এর পার্বত্য এলাকায় খুব হালকা বৃষ্টির সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে বাকি বঙ্গে কোথাও বৃষ্টি নেই। এমনটাই জানিয়েছেন আবাহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় উপ অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত।দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা নামবে শুক্রবার থেকে। পশ্চিমের জেলা সহ গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র এই মুহূর্তে রাতের তাপমাত্রা কোথাও ৩ কোথাও ২ ডিগ্রি বেশি। ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে এই তাপমাত্রা স্বাভাবিক বা তারও সামান্য নিচে নামার সম্ভবনা। পশ্চিমাঞ্চল এবং নদিয়া মুর্শিদাবাদ জেলায় সকালে ঘন কুয়াশার সতর্কতা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। বাকি দক্ষিণবঙ্গে সকালে হালকা বা মাঝারি কুয়াশা। বৃষ্টির কোনো সম্ভবনা নেই। প্রধানত শুষ্ক আবহাওয়া।বৃহস্পতিবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝা পার্বত্য উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে পাস করবে। ফলে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কার্শিয়াং, কালিম্পং এলাকায়। এই ঝঞ্ঝা পুরোপুরি পাস করে গেলে বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য ও সমতলের জেলার তাপমাত্রা গড়ে ১-৩ ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে। হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলাতে। বিহার সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের মালদা জেলায় ঘন কুয়াশার সতর্কতা আছে।কলকাতায় হাওয়া বদল হবে বৃহস্পতিবার থেকে। উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়বে। সপ্তাহের শেষে আরো একবার শীতের স্পেল। সকালে হালকা মাঝারি কুয়াশা ও ধোঁয়াশা। পরে পরিস্কার আকাশ। বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি। গতকাল দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে ২৫.৫ ডিগ্রি। দুটি তাপমাত্রাই এখনও স্বাভাবিকের কিছুটা ওপরে। যা আজ বিকেলের পর থেকেই ধাপে ধাপে নামতে শুরু করবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ দিনে ৯৫ শতাংশ এবং রাতে ৪৩ শতাংশ।