• ছেলে শুধু আমার! বেয়াড়া অধিকারবোধেই 'খুনি' সূচনা...
    ২৪ ঘন্টা | ১১ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: ২০১০-এর ১৮ নভেম্বর বিয়ে। ২০১৯-এর ১৪ অগাস্ট ছেলের জন্ম। তারপর থেকেই স্বামী ভেঙ্কট রামনের সঙ্গে অশান্তির শুরু। ছেলের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত অধিকারবোধ থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। এরপরই ২০২২-এ স্বামী ভেঙ্কট রামনের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসা অভিযোগে মামলা দায়ের করেন সূচনা। এমনকি, স্বামী ভেঙ্কটের কাছ থেকে মাসে আড়াই লাখ টাকা করে ভরণপোষণও চেয়েছিলেন সূচনা।আদালতের কাগজ অনুযায়ী, ২০২১-এর মার্চ মাস থেকেই স্বামী ভেঙ্কট রামনের থেকে আলাদা থাকছিলেন সূচনা শেঠ। স্বামীর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ এনেই আলাদা থাকছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে আদালতে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ, ছবি, মেডিকেল রেকর্ডও জমা দেন সূচনা। গার্হস্থ্য হিংসা অভিযোগেই চলছিল বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। এমনকি বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য স্বামী ভেঙ্কট রামনের কাছ থেকে মাসে আড়াই লাখ টাকা ভরণপোষণও দাবি করেছিলেন সূচনা। কারণ, সূচনার দাবি ছিল, তাঁর স্বামী বছরে ১ কোটি টাকারও বেশি রোজগার করেন। এবিষয়ে আদালতের কাগজ থেকে জানা গিয়েছে যে, তাঁর স্বামী ভেঙ্কট রামনের মাসিক আয় ৯ লাখ টাকা। পুলিস সূত্রে খবর, ভেঙ্কট রামন জানিয়েছেন, ছেলের জন্মের পর থেকেই ছেলের প্রতি মারাত্মক অধিকারবোধ কাজ করত সূচনার। আর তাই নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়শই ঝামেলা লেগে থাকত।  শেষে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। গত ২ বছর ধরে তাঁদের মধ্যে কোনও যোগাযোগও ছিল না। পুলিস জানিয়েছে, বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল শেঠের। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুর এক ফ্যামিলি কোর্ট রায় দেয় যে, প্রতি রবিবার ছেলের 'কাস্টডি' পাবে বাবা ভেঙ্কট রামন। কিন্তু বিগত ৫ সপ্তাহ ধরে ছেলেকে বাবার সঙ্গে দেখা করতে দেননি সূচনা। যাতে আরও একটা সপ্তাহও কেটে যায়, সেই কারণেই সম্ভবত উইকএন্ডে ছেলেকে নিয়ে গোয়া এসেছিলেন শেঠ।গোয়ার হোটেলেই ৪ বছরের ছেলেকে খুন করেন বেঙ্গালুরুর স্টার্ট-আপের সিইও সূচনা শেঠ। ছেলেকে খুনের পর সূচনা নিজেও হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও পুলিসি জেরায় ভেঙে পড়ে সূচনা দাবি করেছেন, তিনি তাঁর ৪ বছরের সন্তানকে খুন করেননি। হঠাৎ জেগে দেখেন, তাঁর ছেলে মৃত! ওদিকে মৃত্যুর আগে সূচনার ছেলে বাবা ভেঙ্কটের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে কথা বলে, বলেও জানা গিয়েছে। অভিযোগ, ছেলেকে খুনের পর দেহ ব্যাগে ভরে বেঙ্গালুরুতে পালাচ্ছিলেন সূচনা শেঠ। সেইসময় চিত্রদুর্গা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে কর্ণাটক পুলিস। বেঙ্গালুরুর মাইন্ডফুল AI ল্যাব-এর সিইও সূচনা ৩ মাস আগে ছেলেকে নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেষ পোস্ট করেন। ৩ মাস আগে সূচনা ইনস্টাগ্রামে ছেলের একটি ছবি পোস্ট করেন। যে ছবিতে দেখা যায়, একটি অ্যাকোরিয়ামের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে একরত্তি ছেলে। অ্যাকোয়ারিয়ামের মাছের সঙ্গে খেলছে সে। হাত বাড়িয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করছে খুদে। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে সূচনা লেখেন, "#whatwillhappen #wish #findinglosing #lifeisbeautiful #lightinwater #fish #holiday #magicofchildhood"। যে হ্যাশট্যাগ হতবাক করেছে নেটিজেনদের! 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)