প্রথমে শুনলেন 'না', পরে কোর্টের কাগজ নিয়ে যোগীরাজ্যের মন্দিরে মালাবদল বাংলার ২ মেয়ের!
২৪ ঘন্টা | ১১ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রথমে বিয়ে দিতে রাজি হননি পুরোহিত। সাফ 'না' বলে দিয়েছিলেন। শেষে আদালতের কাগজ নিয়ে গিয়ে হাজির হন ২ জন। তারপরই বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন পুরোহিত। যোগীরাজ্য উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ার একটি মন্দিরে বিয়ে করলেন বাংলার ২ মেয়ে।২৮ বছরের জয়শ্রী রাহুল এবং ২৩ বছরের রাখি দাস। দুজনেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বাসিন্দা। দুজনেই দেওরিয়ায় একটি অর্কেস্ট্রায় কাজ করতেন। সেখানে কাজ করতে করতে তাঁরা একে অপরের প্রেমে পড়েন। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন দুজনে। গাঁটছড়া বাঁধবেন। একসঙ্গে সংসার করবেন। সেইমতো তাঁরা মন্দিরেও যান। কিন্তু তাঁদের ফিরিয়ে দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।
জয়শ্রী-রাখি জানান, তাঁরা প্রথমে দিরগেশ্বরনাথ মন্দিরে গিয়েছিলেন বিয়ের জন্য। কিন্তু দিরগেশ্বরনাথ মন্দিরে তাঁদের বিয়ের অনুমতি দেওয়া হয়নি। মহন্ত জগন্নাথ মহারাজ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকার কারণে তাঁদের ফিরিয়ে দেন। এরপরই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। বিয়ের জন্য একটি নোটারাইজড হলফনামা সংগ্রহ করেন। এরপর সোমবার দেওরিয়ার ভাটপার রানির ভগদা ভবানী মন্দিরে একটি অনুষ্ঠানে তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধেন। দেওরিয়ায় মুন্না পালের অর্কেস্ট্রায় কাজ করেন জয়শ্রী রাহুল ও রাখি দাস। তিনি বলেন, তাঁরা দুজনেই প্রথমে বিয়েতে বাধা পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। বিকল্প পথ খোঁজেন। এরপরই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। শেষে হলফনামা নিয়ে মাঝৌলিরাজের ভগদা ভাওয়ানি মন্দিরে যান এবং মন্দিরের পুরোহিতের উপস্থিতিতে মালা বিনিময় করেন।বিয়ের পর একটি বিবৃতিতে সমপ্রেমী দম্পতি সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন কীভাবে তাঁদের প্রেমের গল্পের শুরু হয়েছিল সেকথা। কী কী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। আর কীভাবেই বা সেই চ্যালেঞ্জ জিতে ওঠেন। জানান, শেষ পর্যন্ত একে অপরের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি-ই একে অন্যের হাত শক্তিশালী করেছিল।