জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সৌজন্য নাকি রাজনীতি? 'জাতীয় মেলা' ঘোষণার দাবি তো ছিলই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এবার গঙ্গাসাগরে আমন্ত্রণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, এই মেলার অভিনবত্বের কথা জানিয়ে পাঠালেন চিঠিও।
আর বেশি দেরি নেই। ১৫ জানুয়ারি শাহি-স্নান। প্রতিবারের মতোও এবার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কবে? সোমবার। সেদিন কপিলমুনির মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তিনি বলেন, 'অনেক চিঠি লিখেছি, ইউনেস্কোকেও লিখেছি। আমার মনে হয়, কুম্ভমেলার পর গঙ্গাসাগরেরও হেরিটেজ স্ট্যাটাস পাওয়া উচিত। এই মেলায় ১ কোটিরও বেশি মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। রাজ্য সরকারের তরফে সবরকম সাহায্য করি'।মমতার চিঠিতে উল্লেখ, কুম্ভমেলার পর অন্যতম 'বড় আধ্যাত্বিক জমায়েত' হল এই গঙ্গাসাগর। গঙ্গা ও বঙ্গোপসাগরে সংযোগস্থলে এই মেলার ভৌগলিক গুরত্বের কথাও বর্ণনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাদ যায়নি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও। মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, 'ভারত মহাসাগরের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের সঙ্গে প্রাচীন গ্রিক ও রোমান সাম্রাজ্যের বাণিজ্য চলত। রামায়ণ, মহাভারতের মতো পৌরাণিক কাহিনীতও গঙ্গাসাগরের উল্লেখ পাওয়া যায়'। এদিকে ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রামমন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা। সেই অনুষ্ঠান দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। তবে রামমন্দিরের উদ্বোধনে যে তারা থাকবে না, তা কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছে এ রাজ্যের শাসকদল। মোদী কি আসবেন গঙ্গাসাগরে? সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলে।