দিগ্বিজয় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘রামমন্দির
নির্মাণের কাজ এখনও পুরো শেষ হয়নি। তার আগেই ভোটের দিকে নজর করে আগামী ২২ জানুয়ারি
তা উদ্বোধন করা হচ্ছে। বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারের এই পদক্ষেপ হিন্দুদের ধর্মীয়
রীতির বিরোধী। সে কারণেই শঙ্করাচার্যেরাও ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
যাচ্ছেন না।’’ এর পরেই সাংবাদিকদের উদ্দেশে তাঁর প্রশ্ন— ‘‘তা হলে আমরা কেন যাব?
আমাদের কি যাওয়া উচিত হবে।’’
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়াতেই ওড়িশায় পুরী
গোবর্ধনপীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী জানিয়েছিলেন, তিনি অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের
জ্যোতির্মঠপীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জানান, দেশের চার পীঠের চার শঙ্করাচার্যই ঠিক করেছেন ওই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার।
হরিদ্বারে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘২২ জানুয়ারি অযোধ্যায়
সনাতন ধর্মের লঙ্ঘন হতে চলেছে। চার শঙ্করাচার্যের কেউই তাই সেখানে উপস্থিত থাকবেন
না।’’
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে হিন্দুধর্মের চার শীর্ষস্থানীয়
সন্তের এই সিদ্ধান্ত বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে
করা হচ্ছে। যদিও রামমন্দির উদ্বোধন এড়িয়ে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরের ‘ভিন্নমত’
বৃহস্পতিবারই প্রকাশ্যে এসেছে। উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস সরকারের মন্ত্রী তথা প্রয়াত
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের ছেলে বিক্রমাদিত্য বলেছেন, ‘‘এক জন সনাতন ধর্মবলম্বী হিসাবে রামমন্দির উদ্বোধনের ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের
আমন্ত্রণ পেয়ে আমি গর্বিত। অবশ্যই ২২ তারিখে আমি অযোধ্যায় যাব।’’