• বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি, রাজ্যের নাম বদল, জোড়া দাবিতে মোদীকে চিঠি মমতার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ খবর তিনি জানিয়েছেন। এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার অনেক আগে থেকেই উদ্যোগী হয়েছে। এই দাবির স্বপক্ষে যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই তথ্যপ্রমাণ-সহ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলা ভাষার জন্ম ও বিবর্তন হয়েছে আড়াই হাজার বছর ধরে। আমরা সে সব গবেষণাপত্র বের করেছি। তথ্য-প্রমাণ সমেত চিঠি লিখেছি প্রধানমন্ত্রীকে। আমাদের আগে যাঁরা এই রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল, তারা কেউ বাংলা ভাষার মর্যাদা নিয়ে ভাবেননি। তারা রাজনীতি নিয়ে এতো ব্যস্ত ছিল যে এ সব নিয়ে ভাবার সময় পায়নি। ’

    পড়ুন। ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ নিয়ে একধিক প্রশ্ন তুলে কমিটিকে চিঠি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

    প্রসঙ্গত, ধ্রুপদি ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয় সেই সব ভাষাকে যেগুলি দেড় হাজার বা তার চেয়েও বেশি পুরনো। যে ভাষার বৃহৎ এবং অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রাচীন সাহিত্য আছে। যে ভাষার বিস্তার আজও সমানতালে হয়ে চলেছে। গ্রিক, ল্যাটিন, তামিল ও আরবীর মতো ভাষা ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পয়েছে। এর মধ্যে কিছু ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কিছু ভাষা আবার আজও বহমান। গবেষকদের মতে প্রাচীন বাংলা ভাষার ইতিহাস  দুহাজার বছরেরে পুরনো। আজও তা বিকাশমান। তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, কেন এত পুরনো একটা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হবে না। এর আগে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী কেন্দ্রের কাছে এই দাবি করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও সদুত্তর আসেনি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন। 

     এ দিন রাজ্যের নাম বদল প্রসঙ্গেও সবর হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় রাজ্যের নাম বদলের বিলপাশ হয়েছে। কিন্তু তাও বিলটি আটকে রাখা হয়েছ। রাজ্যের নাম বাংলা হলে আপত্তিকে কোথায়?’

    এর পর মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘বোম্বে থেকে যদি মুম্বই হতে পারে আমাদেরটা বদলাবে না কেন। কী অপরাধ?’  তাঁর যুক্তি,  ওয়েস্ট বেঙ্গল' থেকে রাজ্যের নামবদল হলে এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বাইরে গিয়েও অনেক সুবিধা পাবে। সরকারি মিটিংয়ের ক্ষেত্রেও 'অ্যালফাবেটিকালি' পরের দিকে থাকার অনেক সময় বলার ক্ষেত্রে গুরুত্ব হারায়। রাজ্যের নাম বাংলা হলে সেই অসুবিধা পোহাতে হবে না।

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে যা যা প্রশ্ন করা হয়েছিল, সবেরই সদুত্তর দিয়েছে রাজ্য। তারপরও বিষয়টি অন্ধকারে থেকে গিয়েছে বলে আক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন তিনি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)