• কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে অভিযানে ইডি, হানা মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিল ইডি। শুক্রবার ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডির একাধিক দল অভিযান শুরু করে। রিপোর্ট অনুযায়ী, সকাল ৭টার কিছু আগেই ইডি আধিকারিকদের একটা দল এসে পৌঁছায় লেকটাউনে সুজিত বসুর বাড়িতে। রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে ফেলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। এদিকে না যায়, বেশ কিছুক্ষণ ডাকাডাকির পর শেষ পর্যন্ত মন্ত্রীর বাড়ির দরজা খোলে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এই তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ইডির অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল সন্দেশখালিতে। প্রায় একই দৃশ্য দেখা গিয়েছিল বনগাঁতেও। তবে আজকে মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা ঘিরে সকালে কোনও অরজাকতার পরিস্থিতি নজরে পড়েনি। (জানা গিয়েছে, আজ সকালে সুজিত বসুর বাড়িতে পৌঁছে একাধিকবার কলিং বেল বাজান ইডি আধিকারিকরা। প্রথমে কেউ সাড়া না দিলেও পড়ে একজনের গলার আওয়াজ শোনা যায়। তবে শুরুতে দরজা খুলতে অস্বীকার করেছিলেন সেই ব্যক্তি। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর অবশ্য দরজা খুলে যায়। ভিতরে প্রবেশ করেন আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, এর আগে গতবছর অগস্টে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তলব করেছিল সুজিত বসুকে। তবে সেই সময় সুজিত বসু তদন্তকারীদের সামনে হাজির হননি। জানা গিয়েছে, সুজিত বসুর নাম জড়িয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে। দাবি করা হচ্ছে, যেই সময় দক্ষিণ দমদমে এই দুর্নীতি হয়, তখন পুরসভার উপপ্রধান ছিলেন সুজিত।

    প্রসঙ্গত, স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, কয়লা–গরু পাচারের অভিযোগে একের পর এক গ্রেফতার করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–মন্ত্রীদের। এই আবহে গতবছর ডিসেম্বর থেকেই পুন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও বেশি সক্রিয় হয়ে পড়েছিল ইডি। তদন্তকারীরা এর আগে দাবি করেছিলেন, বাংলার একাধিক পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অঙ্ক ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। ইডির দাবি, বহু পুরসভায় মজদুর থেকে শুরু করে ক্লার্ক, কম্পিউটার অপারেটর পদে বেআইনি পথেই নিয়োগ হয়েছে। এই চাকরি দিয়ে টাকা নেওয়া হয়েছে। কামারহাটি, বরাহনগর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কাঁচরাপাড়া–সহ ১৪টি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তথ্য ইডির হাতে এসেছে। এই আবহে ইডির দাবি, রাজনৈতিক নেতা থেকে উচ্চপদস্থ আমলাদের অনেকেই এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে নানা পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং অফিসারদের তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।

    এদিকে বেশ কয়েক মাস আগেই এই দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিলেন অয়ন শীল। ধৃত অয়নকে নিয়ে ইডির দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি করেছেন অয়ন শীল। সেই গ্রুপের সদস্য ছিলেন রাজ্যের একাধিক পুরসভার পুরপ্রধান। অয়ন শীল ও অন্যান্যদের বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ফোন থেকে এই তথ্য পেয়েছে ইডি। রাজ্যের মন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন প্রধান রথীন ঘোষেরও নাম জড়ায় তাতে। এদিকে পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে গত অক্টোবরে হানা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তে উঠে আসা তথ্য ও নথির ভিত্তিতে দফায় দফায় জেরা করা হয় ফিরহাদকে। চাওয়া হয় বিভিন্ন নথি। আর এবার মন্ত্রী সুজিত বসুর বাড়িতে হানা দিল ইডি।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)