ED Raid | Municipal Recruitment Scam: পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজিত বসু-তাপস রায়-সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে ইডি হানা!
২৪ ঘন্টা | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিকাণ্ডের এক সপ্তাহের মধ্যে ফের একাধিক জায়গায় ইডি-র হানা। ইডির হানা শাসকদলের মন্ত্রী, বিধায়ক ও নেতার বাড়িতে। শুক্রবার ভোরে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর লেকটাউন শ্রীভূমি এলাকায় বাড়িতে ইডির হানার পাশাপাশি রাজ্যের বিধায়ক তাপস রায় ও উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতেও হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা।এদিন ভোর সাড়ে ৬টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে ইডি আধিকারিকরা উত্তর দমদম পুর এলাকার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের খলিশাকোটায় প্রাক্তন পুরপ্রধান সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে হানা দেয়। ইডি অধিকারিকদের প্রায় ৫ জনের একটি দল প্রাক্তন পুরপ্রধান, বর্তমানে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয়। ইডি আধিকারিকদের পৌঁছানোর খবর পেয়ে প্রাক্তন পুর প্রধানের বাড়ির সামনে আসেন দমদম থানার আধিকারিকেরা। যদিও তাঁরা বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি, রাস্তা থেকেই তাঁদের ফিরে যেতে হয়।
প্রসঙ্গত, পুর দুর্নীতি নিয়োগ নিয়ে এর আগেও সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকেরা হানা দিয়েছিলেন। এমনকি সূত্র মারফত খবর, ইতিমধ্যেই উত্তর দমদম পুরসভার ৫৮ জন কর্মচারীকে সিবিআই নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে। যাদের চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে হাজিরা দেওয়ার কথা। তারমধ্যে সুবোধ চক্রবর্তী ছেলেরও নাম রয়েছে। ২০১৮ সালে জুন মাসে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্বভার পান সুবোধ চক্রবর্তী। ২০২১ সালের শুরু পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলান তিনি। এই সময়কালে মূলত পুর নিয়োগ দুর্নীতির নথি পান ইডি আধিকারিকেরা। সেই নিয়েই প্রাক্তন পুরপ্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এদিন ভোর সাড়ে ৬ টা নাগাদ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে সুবোধ চক্রবর্তী বাড়িতে হানা দেয় ইডি।ওদিকে লেকটাউনে দমকল মন্ত্রী সুজিত বসুর ২টি বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। শ্রীভূমি ক্লাবের সামনে মোতায়েন করা হয়েছে সেন্ট্রাল ফোর্স। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত নথির সূত্র ধরেই সুজিত বসুর বাড়িতে হানা। এমনকি রীতিমতো লেকটাউনে রীতিমতো এরিয়া ডমিনেশন করছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফের ডেপুটি কমান্ড্যান্টের নেতৃত্বে রুটমার্চ চলছে। লেকটাউন রোড ধরে চলছে রুটমার্চ। এদিন এক হেলমেট, বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট আঁটসাঁট নিরাপত্তায় রয়েছে বাহিনী। বাহিনীর সঙ্গে আজ রয়েছে বিশেষ ধরনের গ্রেনেড। মূলত ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করার জন্য ব্যবহার করা হয় এই গ্রেনেড। যাতে কোনও আঘাত হয় না। কিন্তু প্রবল শব্দ হয়। আজ প্রত্যেক লোকেশনে রয়েছে ৩৫ -৪০ জনের ফোর্স।