• Nisith Pramanik : খুনের চেষ্টার মামলায় আপাতত স্বস্তি শাহের ডেপুটির, রক্ষাকবচ সুপ্রিম কোর্টের
    এই সময় | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের। খুনের চেষ্টার মামলায় রক্ষাকবচ পেলেন কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ। আগামী ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি রক্ষাকবচ পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টর সার্কিট বেঞ্চে শুনানি পর্যন্ত রক্ষাকবচ পেলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চের তরফে দেওয়া হয়েছে রক্ষাকবচ খুনের চেষ্টার মামলায় রক্ষাকবচ পেলেন তিনি। রাজ্যের আইনজীবী গোপাল শঙ্কর নারায়ণের অভিযোগ, নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দায়ের হয়েছে।জানা গিয়েছে, কোচবিহার জেলার দিনহাটার গোসানিমারিতে ২০১৮ সালে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য আবু মিঞাকে হত্যার অভিযোগ ওঠে। আবুর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ ছিল। তাঁর স্ত্রী বাঁচাতে এলে তাঁর উপরেও আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি, তাঁর ছেলে আসাদুল বাবাকে বাঁচাতে গেলে তাঁর পায়েও গুলি লাগে। গোটা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এই ঘটনায় নিশীথ শিবিরের দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। খুনের ঘটনার সঙ্গে নিশীথ প্রামাণিক জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ কর হয়।শেষ পাঁচ বছর ধরে চলা এই মামলায় নিশীথের রক্ষাকবচ তুলে নেয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ। স্বাভাবিকভাবেই, নিশীথ প্রামাণিকের গ্রেফতারির আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিশীথ। শীর্ষ আদালতে নিশীথ জানান, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য আমাকে যে কোনও দিন গ্রেফতার করা হতে পারে। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে রক্ষাকবচের আবেদন করেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে রক্ষাকবচ পাওয়াটা বিজেপি সাংসদ তথা গেরুয়া শিবিরের কাছে অনেকটাই স্বস্তির বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলে।হাইকোর্ট রক্ষাকবচ না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। হাইকোর্টের রক্ষাকবচ উঠে যাওয়ায় বাংলার পুলিশের কাছে তাঁকে গ্রেফতার করার কোনও বাধা ছিল না। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগেই এক বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গ্রেফতারির বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চাপে পড়তে হত বিজেপিকে। সেই জায়গা থেকে এবার অনেকটাই স্বস্তি মিলল বলেই মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী ২ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।রাজ্য, দেশ, দুনিয়া, বিনোদন, খেলার সব খবর সবার আগে পেতে চান?'হোয়াটসঅ্যাপে ফলো করুন এই সময়কে।
  • Link to this news (এই সময়)