• Nadia: অভাব কেড়ে নিয়েছে শৈশব! পথে-পথে গান গেয়ে বেড়ায় ছোট্ট আয়ান...
    ২৪ ঘন্টা | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • অনুপকুমার দাস: দশবছরের আয়ান শেখ। শিশু। কিন্তু আর পাঁচজনের মতো শৈশব নেই তার। অভাবের সংসার। সেজন্য স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি সে। শুধু তাই নয়, অভাবের জন্য লড়তে নেমে পড়েছে রোজগার করতে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে 'গান শুনবেন গো' বলে গান গায় সে। সেই গান শুনে সে যা পায়, এসে তুলে দেয় মায়ের হাতে। 'টুম্পা সোনা' গানটি গলায় তুলে নিয়েছে ছোট্ট আয়ান। গান শুনিয়ে ১০ টাকা পায় সে। টাকাটা এনে মায়ের হাতে তুলে দেয় আয়ান। সে জানায়, সে কোনওদিন স্কুলে যায়নি। তার বাড়ি ছিল নবদ্বীপ মুকুন্দপুর আনন্দবাস গ্রামে। এখন কৃষ্ণনগরে নলুয়াপাড়ায় দিদার বাড়িতে থাকে। 

    আয়ানের বাবা জসীম শেখ ট্রাক ড্রাইভার ছিলেন। পথদুর্ঘটনার কারণে এখন আর ট্রাক চালাতে পারেন না। সারাক্ষণ ঘরেই থাকেন। ইদানীং তাঁর আবার মাথার সমস্যা দেখা গিয়েছে বলেও দাবি তাঁর পরিবারের। সব মিলিয়ে বাবার সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হয় আয়ানের। একসময় বিরক্ত হয়ে আয়ানরা দিদার কাছে চলে আসে। সঙ্গে মা ও দিদি। থাকে ভাড়া বাড়িতে। আয়ানের মা পরিচারিকার কাজ করেন। আয়ানরা দুই ভাই, এক বোন। দাদা কাঠের কাজ শেখে, এখনও রোজগার নেই। দিদি পড়াশোনা করে। এদিকে আয়ান হাতে কাঠের একটি টুকরোকে গিটারের মতো হাতে বাগিয়ে ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পথচারীদের গান শোনায়। তার গান শুনে তাকে কেউ  টাকা দেয়, কেউ দেয় না। আয়ানের দিদা বলেন, একটু সাহায্য পেলে ছোট নাতিকে পড়াশোনা করাতে পারতাম, টাকার জন্যই পারছি না। ঠিকমতো খাবার জোগাড়ই হয় না! বাড়ি ভাড়া দিয়ে কোনও রকমে চলছে। ছোট নাতি তাই গান শুনিয়ে টাকা এনে মাকে দেয়।তবে, আয়ান যাঁদের চোখে পড়েছে তাঁরা বলছেন, ওর এখন পড়াশোনার সময়, আর এখনই আয়ান গান শুনিয়ে রোজগার করে সময় নষ্ট করছে। এখন তো নানা সরকারি সুযোগসুবিধা রয়েছে। কেন তার পরিবার সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছে না? সাধারণ লোকজন বলছেন, আয়ানের ভবিষৎ কী হবে, সেটা এখনই দেখা দরকার ওর পরিবারের। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)