• ED officers attacked in Sandeshkhali: তথ্যপ্রমাণ ছিনতাই 'কুল অ্যান্ড ক্যালকুলেট প্লট'! সন্দেশখালিকাণ্ডে ৭ দিন পর ধৃত ২
    ২৪ ঘন্টা | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রথম গ্রেফতার। ঘটনার ৭ দিন পর ন্য়াজার থানার জালে ২। ভিডিয়ো ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে। গ্রেফতার ফকিরতোকিয়ার মেহবুর মোল্লা ও সুকমল সরদার। যদিও এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজান। শুক্রবার রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। ইডি অফিসারদের উপর চড়াও হয় শেখ শাহাজাহানের অনুগামীরা। মাথা ফাটে ইডি অফিসারের। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৩ জন ইডি অফিসার। সেদিন ইডি অফিসারদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ফাইলও। তদন্তকারী অফিসারদের হাত থেকে তথ্য ছিনিয়ে নেওয়া 'কুল অ্যান্ড ক্যালকুলেট প্লট' বলেই মনে করছে ইডি! ছিনতাই হয়ে যাওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে রেশন দুর্নীতির 'সেনসেটিভ অ্যান্ড কনফিডেন্সিয়াল' নথি। সেদিন তদন্তকারী সংস্থার অফিসার রাজকুমার রামের হাত থেকে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে উঠে আসা তথ্যপ্রমাণ ছিল ব্যাগের মধ্যে। তদন্তকে বাধা দেওয়া এবং লক্ষ্যভ্রষ্ট করাই এর মূল উদ্দেশ্য ছিল বলে মনে করছে ইডি। ইডির অভিযোগ, ছিনতাই হয়ে যাওয়া সামগ্রী উদ্ধারের চেষ্টাও করা হয়নি। এদিন এপ্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।প্রসঙ্গত, সন্দেশখালিকাণ্ডে আগেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি। সন্দেশখালিতে তাদের উপরে হামলা নিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে ইডি। ইডির অভিযোগ, "রেশন দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি করতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েন ইডি অফিসাররা। উলটে ইডির অফিসারদের বিরুদ্ধে পুলিস এফআইআর করেছে বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। সব সংবাদমাধ্যমে এটা প্রচার হচ্ছে। আমরা বসিরহাট কোর্টেও খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু সেখানেও এমন কোনও এফআইআর কপি যায়নি। ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়নি। উলটে প্রতিদিন আমাদের অফিসে পুলিস খোঁজ করছে, কোন কোন অফিসার সেদিন সেখানে গিয়েছিল। আমাদের আশংকা তাদের নামেও নতুন অভিযোগ দায়ের করা হবে হেনস্থার জন্য।" ইডির আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়ের করার অনুমতি দেন। যে মামলায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট রায় দেয়, পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত ইডি বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নয়। আদালতে ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন, "একটা ঘটনায় ৪টে এফআইআর হয়েছে। তার মধ্যে একটা আমাদের বিরুদ্ধে। সেটার কপি পাচ্ছি না।" আদালতে রক্ষাকবচের আবেদন জানান ইডির আইনজীবী। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, এই মুহূর্তে ইডির বিরুদ্ধে যেন কড়া পদক্ষেপ না নেওয়া হয়।  ওদিকে রাজ্যের তরফে আদালতে দাবি করা হয় যে, ইডি পুলিসকে না বলে তল্লাশিতে গিয়েছিল। মামলার পরবর্তী শুনানি সোমবার। এর পাশাপাশি সন্দেশখালিকাণ্ডে গতকাল হাইকোর্টে আরও একটি মামলা দায়ের করে ইডি। সন্দেশখালিকাণ্ডে এফআইআর খারিজের দাবি নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেকটরেট। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সন্দেশখালিকাণ্ডে আসরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। রাজ্য়ের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? এখনও পর্যন্ত কতজন ধরা পড়েছে? অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তে গিয়ে ইডি অফিসারদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতায় ছুটে আসেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীনও। ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর ও সমস্ত মামলার তদন্তকারীরা অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ভয় না পেয়ে নির্ভয়ে তদন্ত করার বার্তা দেন রাহুল নবীন।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)