বিমানের
খোঁজ চালানোর জন্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশেন টেকনোলজি একটি ‘অটোনোমাস ইউটিলিটি ভেহিকল’ (এইউভি) তৈরি করে। ঠিক কোথায় ভেঙে
পড়েছিল বিমানটি তা চিহ্নিত করার জন্য গভীর সমুদ্রে এই যন্ত্রটি দিয়ে তল্লাশি
চালানো হচ্ছিল। সমুদ্রের ৩,৪০০ মিটার গভীরে ‘মাল্টি-বিম সোনার’ এবং ‘সিন্থেটিক অ্যাপার্চার
সোনার’ এবং হাই
রেজ়োলিউশন-এর ছবির মাধ্যমে তল্লাশি চালাচ্ছিল এইউভি। সেই তল্লাশি চালানোর সময়
চেন্নাই উপকূল থেকে ৩১০ কিলোমিটার দূরে বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে।
বায়ুসেনা
সূত্রে খবর, তল্লাশির সময়
এইউভি যে ছবি তুলেছে সেই ছবি ভাল করে পরীক্ষা করে দেখা হয়। তা ছাড়া যে জায়গায়
বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছে, আগে কখনও ওই জায়গায় কোনও বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশেন টেকনোলজি। তাই তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, যে ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার হয়েছে, সেটি বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমানই।
২০১৬
সালের ২২ জুলাই বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমানটি চেন্নাইয়ের তাম্বারান বিমানঘাঁটি থেকে
সকাল সাড়ে ৮টায় উড়েছিল। বিমানে ২৯ জন ছিলেন। পৌনে ১২টা নাগাদ পোর্ট ব্লেয়ারে
নামার কথা ছিল বিমানটির। কিন্তু ওড়ার ১৬ মিনিট পর পাইলটের শেষ বার্তা ছিল ‘সব কিছু ঠিক আছে’। ২৩ হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার পর
সেটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার পর আট বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে সেই
রহস্যের অবসান হল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় বিমানের যাত্রীদের কারওরই দেহ
মেলেনি।