• এবার আসছে জন কি বাত, বিজেপির মন কি বাতের পাল্টা দাওয়াই তৃণমূল কংগ্রেসের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১২ জানুয়ারি ২০২৪
  • বিজেপিকে রাজনৈতিক আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের পক্ষ থেকে তাদের নতুন প্রচার কর্মসূচি ‘জন কি বাত’–এর প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হল। তাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নীতি প্রয়োগের ব্যর্থতা এবং দেশে ক্রমশ বেড়ে চলা বেকারত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মন কি বাত রেডিয়ো অনুষ্ঠানের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের সাফল্যের বাহবা দিয়ে থাকেন। এবার সেসবের জবাব দেওয়ার জন্য পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের হাতিয়ার ‘‌জন কি বাত’‌। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাওয়াই দিতে এমন পদক্ষেপ করল তৃণমূল কংগ্রেস।

    এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে নিয়ে এসেছেন বিস্তর তথ্য। ১.‌৪৫ মিনিট ওই ভিডিয়ো সম্প্রচার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে সারা ভারতের বেকারত্ব দিয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এবং যুবদের উপর কেমন হাল করে ছেড়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী সেটা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্যর্থতা এবং প্রতিশ্রুতি না রক্ষা করার ঘটনা এই ভিডিয়ো’‌তে তুলে ধরা হয়েছে। বেকারত্বের ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেননি প্রধানমন্ত্রী। সেটি তুলে ধরা হয়েছে। আর সেখানেই ২০১৪–২০২৪ সালের মধ্যে দেশে সর্বাধিক বেকারত্ব হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    অন্যদিকে এই জন কি বাত ভিডিয়ো ইংরেজি এবং বাংলায় তৈরি করা হয়েছে। আর নেপথ্য চালানো হয়েছে হিন্দি ভাষা। যাতে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা। ২০২৩ সালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, দেশে ২৫ বছরের কম বয়সী স্নাতকদের মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশি আজ বেকার। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, ২০২২ সালে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৩.২ শতাংশ। অথচ সিএমআইই–এর তথ্যভাণ্ডার থেকে জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে ভারতে বেকারত্বের হার দু’বছরের মধ্যে সর্বাধিক ১০.০৯ শতাংশে পৌঁছেছে। মোদী সরকারের আমলেই ভারতে বেকারত্বের হার ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।

    আরও পড়ুন:‌ ‘ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!’ বাংলার ১০টি শহর সবচেয়ে নোংরা, স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ রিপোর্টে তোলপাড়

    এছাড়া যে সরকার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’–এর স্লোগান দেয়, বাস্তবে তারা নারী সুরক্ষায় কোনও কাজই করে উঠতে পারেনি। বদলে অপ্রয়োজনীয় বিজ্ঞাপনে বিপুল অর্থ খরচ করা হয়েছে। ২০২২ সালে দৈনিক মজুরির ক্ষেত্রে মহিলাদের তাঁদের প্রাপ্য ১৫.৯ শতাংশ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মহিলারা তাঁদের যোগ্যতা অনুসারে কাজের সুযোগ পান না। বদলে সংসারের আর্থিক অনটন দূর করতে অন্য কাজ করতে বাধ্য হন বলে ভিডিয়ো’‌তে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‌সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে এটাই নতুন ট্রেন্ড।’‌ আর বিজেপির রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‌সবাই প্রধানমন্ত্রীকেই টার্গেট করছে। তৃণমূল আগে জবাব দিকে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)