বৃহস্পতিবার তিনি তখন উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের ন্যাজাট
থানা অভিযানে ব্যস্ত। পুলিশ পথরোধ করায় রাস্তায় বসে পড়েছেন সুকান্ত। কিন্তু
ওয়াকিবহাল ছিলেন, নিজের লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকায় বিবেকানন্দের জন্মদিবস
উপলক্ষে আয়োজিত বাইক র্যালির অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তখনই সুকান্ত জানিয়ে দিয়েছিলেন,
র্যালি হচ্ছেই। শুক্রবার সেই ঘোষণামতোই বাইক র্যালি করল বিজেপি। নেতৃত্বে সভাপতি
সুকান্ত।
এ দিকে, শুক্রবার সকাল থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন
রাস্তায় নাকা চেকিং শুরু করে জেলা পুলিশ। সকালে বাইক র্যালিতে যোগ দিতে যাওয়া
বিজেপি কর্মীদের রাস্তায় আটকে দিচ্ছে পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ করেন
বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি। তা নিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ চাপানউতরের পর গঙ্গারামপুর থেকে
শুরু হওয়া বাইক মিছিল শেষ হয় বালুরঘাটের হিলি মোড়ে। সুকান্তের পাশাপাশি, প্রায় ৪০ কিলোমিটার লম্বা যাত্রায় অংশগ্রহণ করেন
জেলার শীর্ষ নেতৃত্বও। বিজেপি জেলা
নেতৃত্বের দাবি প্রায় হাজার খানেক যুবক মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাইক র্যালি শেষ হওয়ার পর রাজ্য প্রশাসন
বিশেষত পুলিশকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘নাকা চেকিং করে পুলিশ ভেবেছিল
আমাদের আটকে দেবে। কিন্তু বিজেপিকে এ ভাবে আটকানো যায় না। পুলিশ যদি পুলিশের মতো
আচরণ করে আমরা সম্মান করব। কিন্তু পুলিশ যদি তৃণমূল ক্যাডারের মতো আচরণ করে, তা হলে
বার বার এ ভাবেই পুলিশকে বাধ্য করব আমাদের সামনে নতজানু হওয়ার জন্য।’’