আগামী দু’দিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা আরও এক
থেকে দু’ডিগ্রি কমতে পারে বলেই হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস।
উল্লেখযোগ্য যে, জানুয়ারি মাস পড়ে গেলেও
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চেনা শীতের দেখা মেলেনি চলতি মরসুমে। তাপমাত্রার পারদ
ঘোরাফেরা করেছে ১৬ থেকে ১৭ ডিগ্রির আশপাশে। ডিসেম্বরেও শীত তেমন ছিল না। গত মাসের
মাঝামাঝি সময়ে কয়েক দিনের জন্য কলকাতার তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছেছিল।
তবে তার পর আবার পারদ উঠেছে চড় চড় করে। হাওয়া অফিস অবশ্য জানিয়েছিল, আগামী কয়েক দিনে আবার ঠান্ডা পড়বে। তাপমাত্রা আরও দুই থেকে চার ডিগ্রি
নামতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। আপাতত পাঁচ দিন তাপমাত্রা কম থাকবে। মিলবে হাড়কাঁপানো
ঠান্ডার অনুভূতি। আবহবিদরা জানিয়েছেন, কনকনে উত্তুরে হাওয়ার
কারণেই রাজ্যে ফিরে এসেছে শীত। বিনা বাধায় উত্তুরে হাওয়া প্রবেশ করতে শুরু করেছে
বঙ্গে। সেই কারণেই আবার ঠান্ডা পড়ছে। এত দিন এই উত্তুরে হাওয়ার পথে প্রধান বাধা
হয়ে দাঁড়িয়েছিল পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। যা কেটে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
তবে হাওয়া অফিস এ-ও জানিয়ে দিয়েছে, আগামী
মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা ভিজতে পারে বৃষ্টিতে। আর
বৃষ্টি হলে শীতের পথে আবার বাধা তৈরি হবে
বলেই আবহবিদরা জানিয়েছেন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পশ্চিম
হিমালয় থেকে ঝঞ্ঝা এবং বঙ্গোপসাগর থেকে আর্দ্রতা ঢুকে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ১৮
জানুয়ারির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ১৬ জানুয়ারি অর্থাৎ, মঙ্গলবার হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরে জেলায়। ১৭ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের
সম্ভাবনা উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব এবং পশ্চিম
মেদিনীপুর, নদিয়া, হাওড়া, হুগলি এবং কলকাতায়। এ ছাড়াও দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও হালকা বৃষ্টির
পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি, অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে
দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং
জেলায় মঙ্গলবার বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার হালকা থেকে মাঝারি
বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং জেলায়। বৃষ্টিতে
শীতকালীন ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলেও সাবধান করেছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতরের
পরামর্শ, কৃষকরা যেন ১৬ জানুয়ারির আগেই মাঠের ফসল কেটে ঘরে
তুলে ফেলেন। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও পৌষ
সংক্রান্তিতে ঠান্ডার আমেজ অনুভব করতে পারবে বাঙালি। আপাতত দু’দিন মশগুল থাকবে জাঁকিয়ে শীতের সম্ভাবনায়। পাশাপাশি রস আস্বাদন করতে পারবে
নতুন খেজুর গুড় এবং পিঠেপুলির।