প্রদ্যুৎ দাস: ঘন কুয়াশা, কনকনে শীত। এরই মাঝে বড়সড় জলপাইগুড়ি শিলিগুড়ি জাতীয় সড়ক দশ দরগার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পরে মৃত দুই আহত এক। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ জাতীয় সড়ক দশদরগার কাছে স্কুটিতে থাকা শিশু-সহ তিনজন দুর্ঘটনা কবলে পড়ে। স্থানীয়দের চেষ্টায় তিনজনকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এর মধ্যে একজন শিশু ও একজন পুরুষ বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। অপর এক মহিলা গুরুতর আহত।
আহতদের আর্তনাদ শুনে ছুটে আসে স্থানীয়রা। এরপর তাদের উদ্ধার করে অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে। এই এলাকায় রাতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং ট্রাফিক পুলিসের উপস্থিতির দাবি জানান বাসিন্দারা। ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিস পৌঁছলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তারা। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস। জলপাইগুড়ি মোহিত নগর এলাকার বাসিন্দা বছর ৩৬ এর দীপক দাস তিনি তার বছর ৮ এর পুত্র সন্তান ও তার স্ত্রী-কে স্কুটিতে চাপিয়ে দশ দড়গা এলাকায় একটি জন্মদিন পার্টি রক্ষা করে বাড়ি ফিরছিলেন। ওইসময় আচমকাই একটি দ্রুত গতির লড়ি স্কুটিতে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। লড়ির ধাক্কায় সঙ্গে সঙ্গে স্কুটির ৩ আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এরপর একের পর এক গাড়ি তাদের পিশে দেয়। যদিও পরে পুলিস আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। ঘটনায় দীপক দাস ও তার ছেলে ধীমান দাসকে মৃত বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঘোষণা করেন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় থাকা অনিমা রায় (৩০)-কে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হয় বলে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে সূত্রে জানা গেছে। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান ঘন কুয়াশার কারণে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিস।