অন্য মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ স্বামী, প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে অ্যাসিড খাইয়ে খুনের চেষ্টা!
২৪ ঘন্টা | ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
প্রসেনজিত মালাকার: স্বামীর অন্য মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি পেয়ে তার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে অ্যাসিড খাইয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা। অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনা বীরভূমের কীর্নাহারের বলরামপুর গ্রামের। পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১১ বছর আগে নির্যাতিতার সঙ্গে বিয়ে হয় বীরভূমের পাঁড়ুই থানার সাত্তর গ্রামের নকিমুদ্দিন শেখের। বিয়ের পর ৮ বছরের ও ৩ বছরের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের দেড় বছর পর থেকেই বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে ফের মেয়েদের বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয় নাকিমুদ্দিন। এর প্রতিবাদ করতে গেলে স্ত্রীর উপর মারধর ও অত্যাচার করতে শুরু করে নকিমুদ্দিন শেখ।৭ বছর আগে এই নিয়ে পারুই থানায় ডায়েরি করেন নির্যাতিতার। তারপরর মীমাংসার পর শ্বশুরবাড়ি ফিরে যান। কিন্তু তারপরও চলে মারধর, অত্যাচার ও প্রাণে মারার চেষ্টা। গত দেড় বছর ধরে মারধর ও অত্যাচারের মাত্রা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। ফের ৪ বার মীমাংসা হয়। কিন্তু তারপরেও চলে মারধর, অত্যাচার ও প্রাণে মারার চেষ্টা। কয়েকদিন আগে ফের স্বামীর সঙ্গে অন্য মহিলার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি হাতে পান নির্যাতিতা। সেই ছবি নিয়ে ভাসুর ও শ্বশুরকে দেখায়। কিন্তু শ্বশুর তাঁর ছেলেকে শাসন করার বদলে ঘুরিয়ে নির্যাতিতার উপরই বিভিন্নভাবে অত্যাচার চালায়।
অভিযোগ, এরপরই বৃহস্পতিবার স্বামী নকিমুদ্দিন শেখ বাড়ি এসে কুড়াল নিয়ে তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে তাঁর ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি দেখানোর জন্য। কোনওমতে সে যাত্রায় রক্ষা পান নির্যাতিতা। তারপর আবার তাঁকে ঘরে ডেকে জোরজবরদস্তি সাপ তাড়ানোর অ্যাসিড খাইয়ে প্রাণে মারার চেষ্টা করে নকিমুদ্দিন। ধস্তাধস্তি বাধে দুজনের মধ্যে। সেই অ্যাসিড তখন স্বামী নকিমুদ্দিন শেখ নির্যাতিতার হাতে, চোখে, মুখে ছুঁড়ে মারে। কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে তালা লাগিয়ে দেন নির্যাতিতা।সকাল হলে তালা খুলে ছোটো মেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়ি চলে আসেন। বাড়ি এসে পরিবারের লোককে বিষয়টি জানান। তারপরই পাঁড়ুই থানায় অভিযুক্ত স্বামী নকিমুদ্দিন শেখের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ডায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। ওদিকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাসিডে জখম নির্যাতিতাকে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতা স্ত্রী।