কৌশিক রায়: বাঙালির তেরো পার্বণের তালিকায় রয়েছে পৌষমেলা। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে এই মেলা শুরু করেছিলেন। বাঙালির ঐতিহ্য বজায় রাখতে এবার পৌষমেলা করার উদ্যোগ নিল সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি। মেলার প্রথম বছরে বিশ্ববিদ্যলয়ের আচার্য্য সত্যম রায়চৌধুরীর স্পষ্ট বার্তা, যে উৎসব একবার শুরু হল তা বহন করা হবে প্রত্যেক বছর। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, " আমরা ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করতে পেরেছি বলে আনন্দ হচ্ছে। ১৩০ বছর আগে দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর পৌষমেলা শুরু করেছিলেন। আমি চাইব এসএনইউয়ের এই উৎসবও যেন শতবর্ষে পৌঁছয়।" শুক্রবার বিশ্ববিদ্যলয়ের ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ছিল পৌষমেলার। সোমবার পর্যন্ত দুপুর ৩টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলা উপলক্ষ্যে আলোয় হয়ে উঠেছে সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন আর্টস বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা কুলো দিয়ে ২৫ ফুট লম্বা একটি পেঁচা তৈরি করেছেন যা মূল আকর্ষণ হয়ে উঠেছে মেলার। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে ৩৭টি স্টল দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে পিঠেপুলি, হরেক রকমের মিষ্টি থেকে শুরু করে হস্তশিল্পের সম্ভার। এদিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সত্যম রায়চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ধ্রুবজ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, নাট্য ব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী, ডঃ বরুণ কুমার চক্রবর্তী, নৃত্যশিল্পী অমিতা দত্ত, সাহিত্যিক প্রচেত গুপ্ত, স্বামী জ্ঞানলোকানন্দ মহারাজ, বাউল সম্রাট পূর্ণ দাস বাউল, পরিচালক গৌতম ঘোষ, সঙ্গীতশিল্পী শান্তনু রায়চৌধুরী প্রমুখ । অতিথিদের প্রত্যেকেরই প্রায় একই মত-পৌষমেলার সাজে সেজে ওঠার পর খানিকটা হলেও শান্তিনিকেতনের ছোঁয়া পেয়েছে এসএনইউ। তিনদিনের মেলায় হস্তশিল্প প্রদর্শনী, পিঠেপুলির সম্ভার ছাড়াও রয়েছে বাউল, নজরুল গীতি, রবীন্দ্রসঙ্গীত, ছৌ নাচ, রায়বেশে, পদাবলী কীর্তনের মত হরেক অনুষ্ঠান।