জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সাজসাজ রব গোটা দেশজুড়েই। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে হচ্ছে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠান। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৮ হাজার অতিথিকে। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিস কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সোনিয়া গান্ধীকে। সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়েছে কংগ্রেস। এনিয়ে সরব অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা।
শনিবার বিশ্বশর্মা কংগ্রেসকে নিশানা করে বলেন, ওরা আসলে বাবরকে ভালো বাসে, রামকে নয়। নিজেদের পাপ কম করার বিশাল সুয়োগ হারাল কংগ্রেস। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কংগ্রেসকে তাদের পাপের প্রায়শ্চিত করার বিরাট সুযোগ দিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। কিন্তু তারা সেই সুযোগ নিতে পারল না। আর কীভাবে কংগ্রেসকে সাহায্য করা যায়। রাম মন্দির তৈরিতে বাধা দেওয়ার একটি সিস্টেমই তৈরি করে ফেলেছিল কংগ্রেস। তার পরেও তাদের রাম মন্দিরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এটা ছিল ওদের কাছে সুবর্ণ সুয়োগ।'উল্লেখ্য, কংগ্রেস ছাড়াও আরও অনেক রাজনৈতিক দল রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে যাচ্ছে না বিরোধী ব্লকের একাধিক দল। এমনকি দেশের দুই শঙ্কারাচার্যও ওই অনুষ্ঠানে যেতে নারাজ। এনিয়ে পুরীরশঙ্কারাচার্য তো রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে এসবকে পাত্তা দিতে রাজি ননয় বিশ্বশর্মা। তিনি এদিন বলেন, জওহরলাল নেহরু থেক রাহুল গান্ধী-সাবাই আফগানিস্থান গিয়েছিলেন বাবরের সমাধিস্থল দেখতে। তাই তারা বাবরকে ভালোবাসেন, রামকে নয়। ওঁদের আমন্ত্রণ করার সিদ্ধান্তই ভুল। শ্রী রামের প্রতি যাদের ভর্তি আছে তাদেরই একমাত্র আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল। বাবর ও রামের মধ্যে কংগ্রেস একমাত্র বাবরের প্রতিই তাদের আনুগত্য দেখাবে। রাহুল গান্ধী বাবরের সমাধিস্থলে যেতে পারে, কেন রামের প্রতি আপনার এক বিদ্বেষ?কেন রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে যাচ্ছে না কংগ্রেস? দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'দেশের কোটি কোটি মানুষ শ্রীরামকে পুজো করেন। ধর্ম হল একেবারেই ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু বিজেপি ও আরএসএস রাম মন্দিরকে একটি রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে ফেলেছে। রাম মন্দিরের কাজ শেষই হয়নি। তার আগেই মন্দিরের উদ্বোধন করে ফেলা বিজেপি একটি রাজনৈতির এজেন্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়।'