লটারিতে উঠেছিল ১ কোটি, টিকিট নিয়ে নিল দোকানদার! তোলপাড় তমলুক
২৪ ঘন্টা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
কিরণ মান্না: টিকিটে উঠেছিল ১ কোটি টাকা। সেই বহুমূল্য লটারিরর টিকিট নিয়ে নিয়েছে টিকিট বিক্রেতা। শুধু তাই নয় সালিশি করে ৩০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা দিতে চাইছেন না টিকিট বিক্রেতা। এনিয়ে তোলপাড় তমলুকের রামতারক। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে লটারির দোকানদারকে ধরে টানাটানি করে জনতা। পুলিস এসে কোনওক্রমে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এলাকার লটারি টিকিট এজেন্ট শীতল আদকের কাছে গত ৭ জানুয়ারি একটি টিকিট কাটে দেরিয়াচক গ্রামের বাসিন্দা শেখ সমিদুল ওরফে সোনা। তার পরিবারের অভিযোগ, যেদিন খেলা হয় সেদিনই সোনা টিকিটটি কাটে। অলনাইনেলেখা দেখে শতীল আদাক জানতে পারেন সমিদুলের ১ কোটি টাকা লেগেছে। অভিযোগ, তারপরেই তিনি সমিদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করে টিকিটটি নিয়ে নেন। বলেন পরে তিনি টাকা দিয়ে দেবেন। সেই টাকা না দেওয়াতেই তুলকালাম এলাকায়।লটারি প্রাপকের কাকা শেখ আকবর আলি বলেন, রবিরার যে খেলাটা ছিল সেটার জন্য আমার ভাইপো সোনা একটি টিকিট কাটে। ও টিকিট কেটে নিয়ে বাইরে চলে যায়। আর এদিকে দোকানদার লাইভ খেলাটা দেখে। দেখার পর বলে, সোনা তোর টিকিট লেগে গিয়েছে। সোনাকে নিয়ে হইচইও করা হয়। ওকে বলে, সোনা তোর টিকিটটা দে। কাল সকালে আমার কাছ থেকে পয়সা নিয়ে নিবি। এই বলে ওর কাছ থেকে টিকিটটা নিয়ে নিয়েছে। এর পর আমরা ওই লটারি দোকানদারকে থানায় নিয়ে যাই। ও বলে ২৫ লাখ টাকা দেবে। পাশাপাশি ওর কমিশনের ৫ লাখ টাকাও দিয়ে দেবে। কোনও কেস করো না। থানা থেকে গ্রামে এসে একটা সমঝোতা করল। লেখালিখিও করল। ঠিক হয় ২ দিন পরে ও টাকা দিয়ে দেওয়া হবে। আজ টাকা দেওয়ার সময় ও বলছে টাকা আমি দিতে পারব না। আমার উকিল আমাকে টাকা দিতে নিষেধ করেছে। আজ লটারি দোকান মালিকেকে সবাই গিয়ে ধরা হয়। ওকে বলা হয় টাকা দিতে। এনিয়ে গোলমাল শুরু হয়। তখুন পুলিস এসে ওকে নিয়ে য়ায়। যে টিকিট কেটেছিল তার নাম শেখ সমিদুল। ওকে সবাই সোনা বলে ডাকে।