• কথাশিল্পীর শৈশবের সঙ্গে বার্ধক্যের অভিনব মেলবন্ধন
    আজকাল | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: ঋষি মনীষীদের স্মৃতি রক্ষণাবেক্ষণে রাজ্য সরকারের একাধিক পদক্ষেপ আগেও নজরে পড়েছে। এবারে অভিনব ভাবনায় মিলন ঘটল কথা শিল্পীর শৈশবের সঙ্গে বার্ধক্য জীবনের। শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাল্য জীবন এবং বার্ধক্য দুটি পৃথক জায়গায়। এই দুই জায়গার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানোর অপরূপ ভাবনায় মুগ্ধ জেলাবাসী। এবারে হাওড়া শরৎ মেলার সূচনা হল দেবানন্দপুর শরৎচন্দ্রের বাড়ি থেকে। ৫২ তম বর্ষে আমতার শরৎ মেলায় নিয়ে যাওয়া হল দেবানন্দপুরের শরৎচন্দ্রের ভিটের মাটি। সেই মাটি দিয়ে বৃক্ষ রোপন করা হবে হাওড়ার শরৎ মেলায়। পাশাপাশি হাওড়া থেকে আনা বৃক্ষ রোপন করা হল হুগলির শরৎ ভিটেতে। শনিবার ব্যান্ডেল দেবানন্দপুরে শরৎ স্মৃতি গ্রন্থাগার থেকে শরৎ মেলার প্রাথমিক সূচনা করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুমা রায় পাল, উপপ্রধান পীযুষ ধর, হাওড়া শরৎ মেলা পরিচালন সমিতির সভাপতি সুমন মুখার্জী, সম্পাদক দেবনারায়ন মাইতি। কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পম্পা দাস।এদিন হুগলির দেবানন্দপুরে অবস্থিত শরৎ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘুরে দেখেন আমতার বিধায়ক। ঘুরে দেখেন শরৎ স্মৃতি গ্রন্থাগার। অনুষ্ঠান শেষে আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল বলেন, শরৎচন্দ্র শৈশব কাটিয়েছেন হুগলির দেবানন্দপুরে আর বার্ধক্য কাটিয়েছেন হাওড়া জেলার আমতায়। প্রতি বছরই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় শরৎ মেলা। তবে এবছর অভিনবত্ব, ওই মেলার প্রাথমিক সূচনা হল হুগলি থেকে। দেবানন্দ পুরের মাটি নিয়ে গিয়ে হাওড়ায় বৃক্ষ রোপন করা হবে। আর হাওড়া থেকে আনা বৃক্ষ রোপন করা হল হুগলিতে। ফলে কথা শিল্পীর শৈশব আর বার্ধক্যের রেখে যাওয়া স্মৃতির মিলন ঘটল। আগামী দিনেও এই রীতি যাতে বজায় থাকে সেই চেষ্টা করা হবে। এই প্রসঙ্গে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেছেন, ইতিমধ্যেই রাজ্য পর্যটন দপ্তরের তরফে দেবানন্দপুরের শরৎ চন্দ্রের জন্ম ভিটেকে কেন্দ্র করে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সরকারি উদ্যোগে শুরু হয়েছে রক্ষনাবেক্ষণের পাশাপাশি সৌন্দর্যয়নের কাজ। হাওড়া জেলায় শরৎ মেলা হয়ে আসছে বহু দিন ধরে। এবছর আমতার বিধায়ক এবং মেলা কমিটির কর্তৃপক্ষরা শরৎচন্দ্রের দেবানন্দপুরের বাড়িতে এসে কথা শিল্পীর জন্ম ভিটের মাটি নিয়ে যান। একইসঙ্গে হাওড়া থেকে আনা গাছ রোপণ করা হয় জন্মভিটের মাটিতে। প্রাথমিকভাবে মেলার সূচনা হয় দেবানন্দপুরের বাড়ি থেকে। এই মেলবন্ধনে খুশি হুগলি ও হাওড়া দুই জেলারই মানুষ। হাওড়ার পানিত্রাস উচ্চ বিদ্যালয়ে ২১ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই শরৎ মেলা।ছবি: পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)