রাত পোহালেই জয়দেব কেন্দুলীতে মকর স্নান, এলাকা পরিদর্শন পুলিসের
২৪ ঘন্টা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
প্রসেনজিৎ মালাকার: রাত পোহালেই জয়দেব কেন্দুলীতে মকর স্নান। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে পুলিস আধিকারিকরা।রাত পোহালেই শতাব্দি প্রাচীন জয়দেবে অজয় নদে পুন্যস্নান। মকর সংক্রান্তিতে অজয় নদে পুন্য স্নান করতে দূরদূরান্ত থেকে আসতে শুরু করেছেন পুন্যার্থীরা। কয়েক লক্ষ পুণ্যার্থী মকরস্নান করেন এই অজয় নদে। তিন দিনের এই সরকারি মেলায় বসেছে কয়েক হাজার দোকান। স্থায়ী আশ্রমের পাশাপাশি অজয় নদের চরে বসেছে অস্থায়ী আশ্রমও। সব মিলিয়ে প্রায় ২৫০ আশ্রম হয় এই জয়দেব মেলায়।
ইতিমধ্যেই মেলা প্রাঙ্গন এবং যেখানে পুন্যার্থীরা মকর স্নান করবেন সেই অজয় নদ পরিদর্শন করেছেন ডিআইজি বর্ধমান রেঞ্জ শ্যাম সিং। সঙ্গে ছিলেন বীরভূমের পুলিস সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়, অ্যাডিশনাল এসপি বোলপুর সুরজিৎ কুমার দে সহ অন্যান্য পুলিস আধিকারিকরা।জয়দেব কেন্দুলী মেলায় পুণ্যার্থীদের জন্য থাকছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই প্রচুর পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। থাকবে সাদা পোশাকের পুলিসও। বাড়তি নিরাপত্তা জন্য থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং ওয়াচ টাওয়ার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নদীঘাটগুলো চিহ্নিতকরণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলা ও অজয় নদের কাছে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় থাকছে অস্থায়ী বাথরুম, জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে দমকল বিভাগের কর্মীরা ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টিম।অজয় নদের পাড়ে যে সমস্ত অস্থায়ী আশ্রম বা আখড়াগুলো রয়েছে সেখানে দুর্ঘটনা এড়াতে একটার সঙ্গে আরেকটার বেশ কিছুটা দূরত্ব রেখে মধ্যে ফাঁকা জায়গা রেখে রাস্তা করা হয়েছে। যাতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে সহজেই দমকল কর্মীরা বা অন্যান্য কর্মীরা প্রবেশ করতে পারেন।যদিও অজয় নদের চড়ে যে আশ্রমগুলো রয়েছে তাদের অভিযোগ যে অন্যান্যবার নদের চড়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অস্থায়ী মোরাম রাস্তা করে দেওয়া হলেও এবার কিন্তু তা আশ্রম কমিটি নিজে থেকেই সেই রাস্তা করতে হচ্ছে।পাশাপাশি আশ্রমগুলোকে তাদের বেশ কিছুটা করে জায়গা ছাড়তে বলার ফলে অসুবিধায় পড়তে হয়েছে অস্থায়ী আশ্রম কমিটিগুলোকে। অর্থাৎ একটা আশ্রম থেকে আর একটা আশ্রমের মাঝে বেশ কিছুটা জায়গা ফাঁকা রাখতে হচ্ছে। সেই ফাঁকা জায়গায় কোনও আলোর ব্যবস্থা থাকছে না এবং ওই ফাঁকা জায়গায় যে কোনও ঘটনা ঘটে যেতে পারে তার দায় কে নেবে, সেই প্রশ্নও তুলছেন অস্থায়ী আশ্রম কমিটির সদস্যরা।আশ্রমের ভিক্ষার পয়সা থেকে সবকিছু করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। আশ্রম কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায় যে, মুখ্যমন্ত্রী জয়দেবে এসে ঘোষণা করার পর থেকে আর ইলেকট্রিক বিল, জলের বিল, জায়গার বিল লাগে না।