• 'বামন হয়ে চাঁদ ধরার চেষ্টা, নিজেদের গড় বাঁচাতে পারে না', কংগ্রেসকে কটাক্ষ অভিষেকের
    আজ তক | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • জোট-আসন নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন তৃণমূল সাংসদ ও সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে এ ব্যাপারে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলের পোস্ট থেকে কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়েছেন অভিষেক।  লিখেছেন,'এনসিএইচএসি-র নির্বাচনে প্রথম বার লড়াই করেও প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে ছাপিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। কেউ বলতেই পারেন যে, বাংলায় আসন নিয়ে এত আশা-আকাঙ্খার কথা বলেও ঘরের মাঠের জমিই আগলে রাখতে পারল না কংগ্রেস!'

     

    উল্লেখ্য, অসম উপজাতি নির্বাচনে কংগ্রেসের ফল হতাশাজনক। উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলে দেশটির প্রাচীনতম দল কংগ্রেসকে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে অভিষেক টুইটে লিখেছেন, 'এটা বলা যেতে পারে যে বাংলায় তাঁদের (কংগ্রেসের) আসন ভাগাভাগির আকাঙ্ক্ষা আকাশছোঁয়া, অথচ তারা তাঁদের দুর্গ রক্ষা করতে পারছে না!' আসামের দিমা হাসাও জেলার উত্তর কাছাড় হিলস স্বায়ত্তশাসিত কাউন্সিলে ৩০টি আসনের মধ্যে ২৫টি আসনে জয়ী হয়ে বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখার পরে তাঁর ওই বিবৃতি।এই নির্বাচনে তৃণমূলও প্রথমবারের মতো তাদের প্রার্থীদের মাঠে নামিয়েছে এবং ৭.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে, কংগ্রেস ৮.৮৭ শতাংশ ভোট নিয়ে শূন্যে নেমে গেছে। যেকারণে আসন ভাগাভাগি ইস্যুতে কটাক্ষ করেছে অভিষেক। 

    তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২টিতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কংগ্রেসকে প্রস্তাব দিয়েছে। সূত্রের খবর, এই ফর্মুলা কংগ্রেসের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সূত্র জানিয়েছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেসের মতামত যে, রাজ্যের প্রভাবশালী দলকে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত।

    এরপরই অধীর রঞ্জন চৌধুরী মমতার ওপর তীক্ষ্ণ মৌখিক আক্রমণ শুরু করেছেন। ইন্ডিয়া ব্লকের ৫তম সভা কার্যত ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে আসেননি। এর পেছনে কারণ হিসাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পূর্ব-নির্ধারিত কর্মসূচিগুলিকে উদ্ধৃত করেছিল তৃণমূল। বৈঠকের আগে অধীর রঞ্জন চৌধুরী একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন এবং তাঁকে 'অহংকারী এবং অসৎ' বলে অভিহিত করেছিলেন। অধীর রঞ্জন বলেন, 'এই মহিলা রাজীব গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে নেত্রী হয়েছিলেন। সেই মহিলা কতটা অসৎ, তিনি কতটা অহংকারী যে, যারা তাঁকে রাজনীতিতে রেখেছেন তাঁদের কাছে তিনি অহংকার দেখান।'

     
  • Link to this news (আজ তক)