খুঁজে-খুঁজে 'খুন'' রাজায়-রাজায় যুদ্ধ হয়, সাংবাদিকের প্রাণ যায়...
২৪ ঘন্টা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা কাগজে-কলমে যতটা স্বীকৃত, কার্যক্ষেত্রে প্রায় কোনও জায়গাতেই যে তা সেইভাবে স্বীকৃত নয়, এটা অতীতে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। এখনও হচ্ছে। সাংবাদিকের স্বাধীনতা তো হরণ করা হয়ই, বহুক্ষেত্রে হরণ করা হয় তাঁদের প্রাণও! বিশ্ব জুড়ে এই চলছে। চলছে প্যালেস্টাইন-ইজরায়েল সংঘর্ষে। প্যালেস্টাইনের গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ১০০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে স্তম্ভিত করে দেওয়া একটি খবর পাওয়া গিয়েছে! 'কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট' কি তবে ব্যর্থ?
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন ওরফে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত শুরু হয়েছিল গত বছরের ৭ অক্টোবর। সেই দিন থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা হিসেব করে প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে! সেই হিসেব থেকেই সাংবাদিকদের মর্মান্তিক মৃত্যুর হাড়হিম করে দেওয়া খবরটিও জানা গিয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার ইজরায়েলি বিমান হামলায় সর্বশেষ প্যালেস্টাইনি সাংবাদিক মারা গিয়েছেন-- তাঁর নাম মুহাম্মদ আবু হায়েদি। গাজা শহরের পূর্ব দিকে নিজের বাড়িতে বিমান হামলার শিকার হয়েছেন হায়েদি!এবং এটাই হচ্ছে সব চেয়ে ভয়ের ও আপত্তির জায়গা। যুদ্ধক্ষেত্রের খবর করতে গিয়ে পরোক্ষ আক্রমণে যদি নিহত হন সাংবাদিকেরা, দুঃখের হলেও সেখানে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যু-জাতীয় সান্ত্বনার একটা অবকাশ তবু থাকে তাঁদের পরিবারের দিক থেকে। কিন্তু যুদ্ধের খবর করার জন্য যদি যুদ্ধরত কোনও শক্তির আক্রোশে পড়ে প্রাণ যায় সাংবাদিকের, সেটা মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। অথচ, অভিযোগ, সেটাই চলছে সেখানে। এই ভাবে প্রায় ৮২ জন সাংবাদিকের মৃত্য়ুর খবর এখনও পর্যন্ত মিলেছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই অনুমান।ইজরায়েলের হামলায় গাজায় ৫০টিরও বেশি মিডিয়া হাউস সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। শত শত প্যালেস্টাইনি সাংবাদিক ও তাঁদের পরিবারকে জোর করে বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে, 'কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টে'র এক সমীক্ষা জানিয়েছিল, একটি বিখ্যাত মিডিয়া হাউসের ক্যামেরাম্যান-সহ অন্তত ৬৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন! সাংবাদিকমৃত্যুর নতুন সংখ্যা আসতে বোঝাই যাচ্ছে, বিষয়টি থেমে নেই। সাংবাদিকদের 'খুন করা'র প্রক্রিয়াটা চলছেই।গাজায় বন্দি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইজরায়েলের কারাগারে বন্দি প্যালেস্টাইনিদের মুক্তির বিনিময়ে, পাশাপাশি গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গতবছরের ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছিল। এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইজরায়েল ২৪০ জনকে মুক্তি দিয়েছিল।