• 'গাঁজা ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে নমিনেশন দিয়ে পঞ্চায়েত সদস্য করেছে বিজেপি'!
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'গাঁজা ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে দলের মনোনয়ন দিয়েছেন'। হাওড়াকাণ্ডে সরব তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বললেন, 'তাহলে বিজেপি নেতাদের মানতে হবে যে, গাঁজার চাষ জেনেই তাঁরা তাঁকে দলে নিয়েছেন'।

    ঘটনাটি ঠিক কী? হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য রূপা রায়। গতকাল, শনিবার স্থানীয়  নবঘরা সরদারপাড়ায় তাঁর বাড়িতে হানা দেয় হাওড়া পুলিস। উদ্ধার হয় ৪১ কেজি গাঁজা। শুধু তাই নয়, গাঁজা বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী নিমাই রায়-সহ ৩ জনকে।নিমাই নিজেও বিজেপির কিষাণ মোর্চার নেতা। এদিন যখন আদালতে পেশ করা হয়, তখন তিনি বলেন, 'ব্যবসা আমার মায়ের। আমরা তিনভাই খেতে পাইনি। এই পয়সায় খেয়ে বড় হয়েছি। আমার মেয়ে এখনও এই পয়সায় পড়াশোনা শিখছে'। বিজেপি নেতার অভিযোগ, 'রাজনৈতিক চক্রান্ত, কোথা থেকে হয়েছে, কী হয়েছে,সব আমি তো বুঝতে পারছি। আমার কাছে খবর এসেছিল, তোমাকে ফাঁসাবে। টিএমসি চক্রান্ত করেনি, আমার দলের লোক করেছে'।এই ঘটনায় এবার আসরে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, 'তাহলে বিজেপি নেতাদের মানতে হবে যে, গাঁজার চাষ জেনেই তাঁরা তাঁকে দলে নিয়েছেন এবং এবং গাঁজা ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে দলের মনোনয়ন দিয়েছেন। গাঁজাখোর বিজেপি, গাঁজা ব্য়বসায়ীর স্ত্রীকে নমিনেশন দিয়ে, পঞ্চায়েত সদস্য করেছে'।কুণালের আরও বক্তব্য, 'পুলিসকে অনুরোধ করব, এর সঙ্গে যাঁদের যাঁদের ছবি আছে, তাঁদেরকে মামলায় ঢোকানো হয়। এদের সঙ্গে কী সম্পর্ক?  এরা ব্যবসাটা বাড়াতে সাহায্য করেছে?  দলে নিয়ে কেন পৃষ্ঠপোষকতা করেছে? নাকি আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন? নাকি গাঁজাসেবনজনিত কোনও সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল? পুরোদস্তুর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন'।বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের পাল্টা দাবি, 'পশ্চিমবঙ্গে আমরা বিভিন্ন সময়ে গাঁজা নিয়ে মানুষকে গ্রেফতার হতে দেখি। পুলিস গাঁজা কেস দেয়, অত্যন্ত নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। পশ্চিমবঙ্গে এই মুহুর্তে যত গাঁজার মামলা দিয়ে পুলিস লোককে জেলে ঢুকিয়ে রেখেছে, সেই গাঁজার পরিমাণটা যদি একবার ওজন করে দেখা যায়, তাহলে দেখা যাবে পূর্ব ভারতেও এত গাঁজা চাষ হয়নি'।শমীকের প্রশ্ন, '২৫ কেজি গাঁজা তাঁর কাছে পৌঁছল কী করে? রাজ্যের পুলিস কি করছে তাহলে? মুখ্যমন্ত্রী তো নিজের পুলিসমন্ত্রী।  তাহলে কী ধরে নিতে হবে, পশ্চিমবঙ্গে এখন গাঁজা চাষ সর্বাধিক! সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গাঁজা চাষ বাড়ছে! সরকার আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে'! সঙ্গে কটাক্ষ, 'পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রার্থী, তাঁদের কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিগত জীবনে কে কীসের ব্যবসা করেন, তালিকা তৈরি করতে হয়, তাহলে তো... যতকম বলা যায়, ততই ভালো'।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)