• শেখ শাহাজাহানের টিকি ছুঁতে পারল না পুলিস, সন্দেশখালিকাণ্ডে গ্রেফতার আরও ২
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে হামলার মুখে পড়ে ইডি ও সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা। হামলায় জখম হন ৩ ইডি অফিসার। এলাকার কেউ কেউ সংবাদমাধ্যমে দাবহি কেরছেন এলাকাতেই রয়েছেন শাহজাহান।তার পরেও এখনওপর্যন্ত শেখ শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিস। তবে পুলিসের বড় সাফল্য হল রবিবার ওই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও ২ জজনকে গ্রেফাতরা করল পুলিস। সবেমিলিয়ে ওই ঘটনায় পর ৯ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর এখনওপর্যন্ত গ্রেফতার হলেন ৪ জন।

    গত ১২ জানুয়ারি আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। মেহবুর মোল্লা ও সুকমল সর্দার নামে ওই দুজনকে সন্দেশখালির ন্যাজাট এলাকা থেকে গ্রেফতার ন্যাজাট থানার পুলিস। অন্যদিকে, রবিবার আরও যে দুজনকে পুলিস গ্রেফতার করে তারা হল সঞ্জয় মণ্ডল ও আলি হোসেন ঘরামি। সঞ্জয় মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয় ন্যাজাট থেকে। আবার আলি হোসেন ঘরামিকে গ্রেফতার করা হয় খড়িবাড়ি থেকে।উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় ইডি। অনেক ডাকাডাকির পরও কেউ গেট না খোলায় নিরাপত্তা বাহিনী গেটে ভোঙার চেষ্টা করে। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষজন। শেষপর্যন্ত এলাকার মানুষজের হামলার মুখে পড়ে যায় ইডি অফিসাররা। আহত হন ৩ ইডি অফিসার। তাদের কাছে থেকে নথিপত্রও ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ইডির দাবি, ওইদিন যা করা হয়েছিল তা একবারেই পরিকল্পিত। সংস্থায় তদন্তকারী অফিসার রাজকুমার রামের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ল্যাপটপ, মোবাইল ও ব্যাগ। এদিকে, ওই ঘনার পর ইডি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার পর ইডি অফিসারদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়। এনিয়ে মামলা উঠেছে আদালতে।সন্দেশখালির ঘটনায় সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও। গোটা ঘটনা জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে রাজ্যের কাছে। কী ঘটেছিল সেদিন? কতজন ধরা পড়েছে? কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে? যত দ্রুত সম্ভব রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েচছে। ইডি অফিসারদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে কলকাতায় ছুটে আসেন ইডি-র ডিরেক্টর রাহুল নবীনও। ইডির তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। নির্ভয়ে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়ে য়ান তিনি।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)