• ৭দিন সূর্যের দেখা নেই, শীতে জবুথবু ত্রিপুরা
    আজকাল | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • সমীর ধর,আগরতলা: টানা ৭ দিন সূর্যের দেখা নেই আগরতলা-সহ গোটা ত্রিপুরায়। শীতে জবুথবু জনজীবন। পারদ নেমেছে ১০-এর ঘরে। শনি-রবি দু-দিন আগরতলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০-এর ওপর থাকলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯-এর নিচে ছিল। তবে ধলাই জেলায় তাপমাত্রা নেমেছে ৯ ডিগ্রি অবধি। কনকনে উত্তুরে হাওয়ার সঙ্গতে কাঁপছে পাহাড়-গ্রাম-শহর। রবিবার তার মধ্যেই চলছে পৌষ-সংক্রান্তির পিঠে-পুলি খাওয়া আর হিমশীতল ভোরের কাক-স্নান সেরে বুড়িঘর পোড়ানো। বিচিত্র নকশা আর নানান রঙের ঐতিহ্যবাহী উঠোন-আলপনায় চোখ জুড়িয়ে দিচ্ছেন গ্রাম-ত্রিপুরার দক্ষ মহিলা শিল্পীরা। আগরতলার পাশেই লঙ্কামুড়ায় প্রায় প্রতি বাড়িতেই এইরকম নয়নাভিরাম আলপনা চোখে পড়বে। ছুটির দিন হওয়ায় একদিকে পিকনিকের ধুম, অন্যদিকে ডম্বুর-তীর্থমুখ, চাকমাঘাট, মেলাঘর-বটতলি-সহ সব জেলায় বসেছে ছোট-বড় পৌষ-মেলা। কদিন ধরে সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে পথ-ঘাট-প্রান্তর। প্রায় প্রতিদিনই সকালের বিমান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঘন ঘন বাতিল বা বিলম্বিত হচ্ছে ফ্লাইট। আগরতলায় রাস্তার পাশে আগুনের ধুনি জ্বালিয়ে হাত-পা সেঁকে নিচ্ছেন দিনমজুর-রিকশাশ্রমিক ও নানা পেশার মেহনতিরা। দিন-দুপুরেও শীতের পোশাক ভেদ করে কাঁপুনি উঠছে শরীরে। অকাল-বৃষ্টির জন্য এবার শীতের সবজির ফলন অনেকাংশেই মার খেয়েছে ত্রিপুরায়। ফলে বাজারে শাক-সবজির দাম এমনিতেই আকাশছোঁয়া। তার উপর টানা সূর্যবিহীন দিন থাকায় কৃষির আরও ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। উদ্যানবিদ সুব্রত দত্তচৌধুরির কথায়, এতদিন সূর্য না উঠলে ক্ষেতে-বাগানে গাছেদের অনাহার-অর্ধাহারে কাটাতে হয়। সালোকসংশ্লেষ ব্যাহত হওয়ায় গাছেরা নিজেদের খাদ্য তৈরি করতে পারে না। ফল ও সবজির বৃদ্ধির হারও কমে যায়। আবহাওয়া দপ্তরের বক্তব্য, এইরকম আবহাওয়া চলবে আরও দু-একদিন।
  • Link to this news (আজকাল)