ঠিক কিভাবে করা হয় এয়ারলিফট, কখনই বা করা হয়- খোঁজ নিল আজকাল ডট ইন!...
আজকাল | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
তীর্থঙ্কর দাস: গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের আগমন শুরু হয়ে গিয়েছে ৬ জানুয়ারি থেকে। শনিবার ১২ টা পর্যন্ত ৪৫ লক্ষ পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগর এসেছেন। সাগরে আসার সঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকই। পশ্চিমবঙ্গ সরকার গঙ্গাসাগর মেলায় সব রকমের ব্যবস্থা করেছে। স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও নজর রাখা হয়েছে বিশেষভাবে। কোনও পুণ্যার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আম্বুলেন্স করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সেখান থেকে আকাশপথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতায়।বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানুষের প্রাণ বাঁচানোর জন্য এই কাজে এগিয়ে এসেছেন। রয়্যাল লাইফ সেভিং সোসাইটি অব ইন্ডিয়া তাঁদের মধ্যে অন্যতম। আন্তর্জাতিক এই স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছে। প্রাথমিকভাবে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে এই সংস্থার মেডিক্যাল ক্যাম্পে এসে জানালেই তৎক্ষণাৎ ডাক্তার রোগীদের দেখেন। রোগীর অবস্থার অবনতি হলে আম্বুলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, সঙ্গে পাঠানো হয় একজন চিকিৎসককেও। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হেলিপ্যাডে। হেলিপ্যাড থেকেই এয়ার আম্বুলেন্স করে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার সরকারি হাসপাতালে। রয়্যাল লাইফ সেভিং সোসিসিটি অফ ইন্ডিয়ার ডাক্তার রবিন ভট্টাচার্য আজকাল ডট ইনকে জানালেন, তাঁদের লাইফ সেভিং ইউনিট এবং মেডিক্যাল ইউনিট রয়েছে। লাইফ সেভিং ইউনিট জলে কেউ ডুবে গেলে তাঁদেরকে উদ্ধার করে। এতদিন পর্যন্ত ২৭-২৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে ডুবে যাওয়া থেকে, হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ৭০-৭৫ জনকে। অন্যদিকে প্রায় ৩৭৫০০ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। রবিবার পর্যন্ত ৫ জন রোগীকে এয়ার আম্বুলেন্স করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলকাতায়।গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাডে রোগী আসার সঙ্গে কর্তব্যরত ডাক্তার এবং নার্স রোগীকে দেখে নেন। তারপরেই এয়ারলিফট করে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগীর অবস্থার অবনতি যেন না ঘটে সে দিকটা মাথায় রেখে অকারণে সময় নষ্ট না করে হেলিকপ্টারে উঠিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওয়ানা করে দেওয়া হয় বলেই জানালেন হেলিপ্যাডে কর্তব্যরত নার্স নমিতা মোদক।গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য আজকাল ডট ইনকে জানালেন, তিনি অত্যন্ত গর্ববোধ করছেন মানুষকে পরিষেবা দিতে পেরে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার গঙ্গাসাগর এবং ডুমুরজলা হেলিপ্যাডে অত্যন্ত ভালোরকম করে ব্যবস্থাপনা করেছে। হেলিকপ্টারে রোগী নিয়ে যেতে কোনওরকম অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছেনা পাইলটকে, বললেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য্য। হেলিকপ্টারে মজুত রয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল সরঞ্জাম। সঙ্গে থাকছেন ক্রিটিকাল কেয়ার এক্সপার্ট সুমন সরকার যে আকাশপথে প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছেন রোগীকে।