বয়ফ্রেন্ডের ১৮ মাসের সন্তানকে স্ত্রু-ব্যাটারি খাইয়ে খুন! তদন্তে নেমে চোখ ছানাবড়া পুলিসের
২৪ ঘন্টা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'পথের কাঁটা' সরাতে এমনটাও কেউ করতে পারে? এই মার্কিন মহিলার কথা না জনলে বিশ্বাসই হয়তো হবে না কারও। পেনসিলভেনিয়া পুলিস সম্প্রতি এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে এক শিশু সন্তানকে খুনের অভিযোগে। মহিলার নাম অ্যালিসিয়া ওনেস। বয়স মাত্র ২০ বছর। এমনই এক তরুণী মেরে ফেলেছেন তাঁর বয়ফ্রেন্টের ১৮ মাসের সন্তানকে। কীভাবে হত্যা তা জানলে শিউরে উঠতে হয়।
মাত্র ১৮ মাসের রিটা আলফেরা নামে ওই শিশুটির দেহ ময়না তদন্তের পরে দেখা যায় শিশুটির রক্ত রয়েছে মারত্মক মাত্রায় অ্য়াসিটোন। আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, এই মামলার বিস্তারিত অত্য়ন্ত মর্মান্তিক। ভাবতেই পারা যায় না একটি অসহায় শিশুর ক্ষতি করার জন্য কেউ এতটা পর্যন্ত যেতে পারে। শুরু তাই নয় শিশুটির মৃত্যুর পর তদন্তকারীদের এভাবে বিপথে চালনার চেষ্টা করতে পারে। তদন্তে দেখা যাচ্ছে অভিযুক্ত কীভাবে দিনের পর দিন ওই শিশুটিকে মারার জন্য পরিকল্পনা করেছিল। তার পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেছিল।সময়টা গতবছর ২৫ জুন। অ্যালিসিয়া ছিল তার বয়ফ্রেন্ড বেইলি জ্যাকব ও তার মেয়ে আইরিসের সঙ্গে। জ্যাকব বাড়ির জিনিসপত্র কিনতে স্থানীয় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে যান। বাড়ি থেকে বের হওয়ার কিছুক্ষণ পরই জ্যাকবের মোবাইলে একটি ফোন আসে। ওপ্রান্ত থেকে অ্যালিসিয়া বলে আইরিসের কিছু একটা হয়েছে। ওই ফোন পেয়েই দ্রুত ঘরে ফিরে আসেন জ্য়াকব। এসে দেখেন মেয়ে আইরিস নড়াচড়া করছে না। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি ৯১১ নম্বরে ফোন করেন। সঙ্গে সঙ্গেই আইরিসকে নিউ ক্য়াসেলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এয়ারলিফট করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় পিটসবার্গের একটি শিশু হাসপাতালে। কিন্তু ৪ দিন পর মাল্টি অর্গান ফেলিওয়ের মৃত্যু হয় আইরিসের।পুলিসের কাছে অ্যলিসিয়া জানিয়েছিল বিছানা থেকে পড়ে গিয়ে আইরিসের মাথায় জোরে আঘাত লাগে। কিন্তু ময়না তদন্তে দেখা যায় শিশুটির পেটে রয়েছে বোতামের মতো কিছু ব্যাটারি ও স্ক্রু। শুধু তাই নয়, গতবছর ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত অ্যালিসিয়া তার ফোনে বেশকিছু জিনিস সার্চ করেছে। সেখানে সে জানতে চেয়েছে, ঘরোয়া এমনকিছু জিনিস যাতে কোনও শিশুর মৃত্যু হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে ওয়াটার বেডস, ব্যাটারি, ও নেল পলিস। পাশাপাশি এমনকিছু বিউটি প্রোডাক্ট যা কোনও শিশুর ক্ষতি করতে পারে। ওইসব তথ্যপ্রমাণ থেকে অ্যালিসিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিস।