• দিল্লির তাপমাত্রা নেমে এল ৩.১ ডিগ্রিতে, রাজধানীর মতো ঠান্ডা পড়বে পশ্চিমবঙ্গে?
    আজ তক | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • শৈত্যপ্রবাহের জের। মরসুমের শীতলতম দিন দিল্লি। সোমবার দিল্লির লোধি রোডের তাপমাত্রা ৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। লোধি রোডের পাশাপাশি সফদরজংয়ের তাপমাত্রাও হু হু করে নামছে। সেখানকার তাপমাত্রা ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রা আরও নামতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

    দিল্লির মতো তাপমাত্রা অতটা না নামলেও বাংলাও কার্যত জবুথবু হাড় কাঁপানো ঠান্ডায়। শৈত্যপ্রবাহ চলছে রাজ্যের একাধিক জেলায়। সেই শনিবার থেকে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আর এই শৈত্যপ্রবাহ চলবে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে।  

    শনিবার কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ ডিগ্ৰি (স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্ৰি কম ছিল)। এর আগে কলকাতায় ১৭ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৩.৭ ডিগ্রি হয়েছিল। উত্তুরে হাওয়ার কারণে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাওয়ায় সারাদিন শীতের আমেজ ভালোই ছিল। 

    দক্ষিণবঙ্গ ও পশ্চিমের জেলাগুলোতেও তাপমাত্রা কমছে। দক্ষিণবঙ্গে শীতলতম স্থান ছিল পুরুলিয়া। তাপমাত্রা ছিল ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। এছাড়াও বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, মেদিনীপুর, কালিম্পংয়, নদীয়ার কোনও কোনও জায়গার তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছিল ৯ ডিগ্রির  আশপাশে। 

    আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার পর্যন্ত কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না। বরং কমতে পারে। দেখেশুনে অনেকেই বলছেন, এ যেন দিল্লির মতো তাপমাত্রা। যে হারে ঠান্ডা বাড়ছে তাহলে কি রাজধানীর মতো ঠান্ডার সাক্ষী হতে হবে বাংলাকে? 

    আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তেমন কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও বুধ ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে হাল্কা বৃষ্টি হবে। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও সংলগ্ন সমতল এলাকাতেও। তবে তারপর থেকে ঠান্ডা একটু একটু করে কমতে পারে। কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ফের ১৭ ডিগ্রির কাছাকাছি চলে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডার হাত থেকে নিস্তার মিলবে। জেলাগুলির মধ্যে মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, বীরভূম, নদিয়া, পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও তাপমাত্রা সেক্ষেত্রে কিছুটা বাড়বে। 

    ফলে দিল্লির মতো তাপমাত্রা নামার তেমন কোনও সম্ভাবনা  নেই। তবে শৈত্যপ্রহাহের দাপট দেখা যাবে। সাধারণ মানুষ ঠান্ডায় কাবু হলেও আবহাওয়া দফতরের মতে, ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছরই জানুয়ারিতে কলকাতা, দমদমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কম হয়েছিল। দুই জায়গাতেই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা একাধিকবার ১০ ডিগ্রির নীচে আসার দৃষ্টান্ত আছে। 

    সুতরাং, দিল্লির থেকে কলকাতার তাপমাত্রা নিচে নামবে না। তবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, আসোনসোলের মতো জায়গাতে তাপমাত্রা দিল্লির থেকে মাত্র ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস মতোই বেশি আছে। সেই তাপমাত্রা এখনও কতটা নামবে সেটাই এখন দেখার।  
  • Link to this news (আজ তক)