• পুরসভা অচল করে আন্দোলন! বেতন বন্ধের হুমকি পুর প্রধানের
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • বিধান সরকার: মজুরি বৃদ্ধি ও সময়ে বেতন দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন। পুরসভা অচল করে আন্দোলন হলে বেতন দেওয়া হবে না বললেন পুর প্রধান। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার গেটে সামনে একদিনের কর্মবিরতিতে বসলো পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অরাজনৈতিক অস্থায়ী শ্রমিক সংগঠনের ডাকে আন্দোলন করছেন শ্রমিকরা। বিগত এক বছর ধরে বিভিন্ন সময় তারা এই পুরসভায় আন্দোলন ও ডেপুটেশনের সামিল হয়েছেন। কিন্তু তাতেও তাদের কোন সুরাহা হয়নি।

    তাই হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা একদিনের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। তাদের ৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু করেছেন। প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন, পিএফ-এর আওতায় সকল অস্থায়ী শ্রমিকদের আনতে হবে, বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে-সহ আরও কয়েক দফা দাবি রয়েছে তাদের। তারা জানান, পুর প্রধানকে একাধিকবার তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করার আবেদন করলেও তিনি করেননি। তাই তারা এই প্রতীকী কর্মবিরতি করছেন।আগামীদিনে তাদের দাবি না মানা হলে পুরসভা ৩০টি ওয়ার্ডের কাজ বন্ধ করে রাখা হবে বলেও জানান তারা। সোমবার সকাল থেকেই অস্থায়ী কর্মীরা পৌরসভার গেটের পাশে মঞ্চ বানিয়ে জমায়েত হয়ে পথসভা করছে। যদিও পুরপ্রধান অমিত রায় জানান, 'পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সব থেকে বেশি অস্থায়ী কর্মী চুঁচুড়া পুরসভায় আছে এবং তারা প্রতিমাসে বেতন পায়। তাদের এক বছর আগে বেতন বৃদ্ধি হয়েছে।'পুর প্রধানের আরও বক্তব্য, 'তবে এমন বহু কর্মী আছে যারা কাজ না করেও বেতন নেয়। কাজ বন্ধ রেখে কোন আলোচনা করা যায় না। কাজ বন্ধ রেখে ডেপুটেশন দেওয়া বেআইনি। তবুও তারা আমাদের কর্মচারী, তাই তাদের দিকটা বিবেচনা করা হবে। মানুষ পরিষেবা থেকে ব্যাহত হচ্ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অচল অবস্থার সৃষ্টি করছে।' আগামী দিনে কাজ বন্ধ করে পৌরসভাকে অচল করলে বেতন দেওয়া হবে না বলেও জানান পুরপ্রধান। বেআইনি ধর্মঘট করলে ট্রেড ইউনিয়ন অ্যাক্ট অনুযায়ী তাদের বহিষ্কারও করা হতে পারে।
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)