• অসম থেকে অযোধ্যা! ৭০ পেরিয়েও পায়ে হেঁটেই রামমন্দিরে চলেছেন ভবানীপ্রসাদ...
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • প্রদ্যুৎ দাস: অযোধ্যার রামলালার মন্দির উদ্বোধন নিয়ে উত্তেজনা গোটা দেশ জুড়ে। মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে অভিনব উপায়ে সেখানে পৌঁছে ইতিহাস গড়তে চাইছেন অনেকেই। কেউ সাইকেল চালিয়ে, কেউ গাড়ি নিয়ে, কেউ হেঁটেই অযোধ্যায় পৌঁছতে উদ্যোগী। সেই লক্ষ্যেই অসম থেকে পায়ে হেঁটে অযোধ্যার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন সত্তরোর্ধ্ব ভবানীপ্রসাদ রিমাল।

    আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে উদ্বোধন। সেই অনুষ্ঠানের সাক্ষী থাকতে ডিব্রুগড় থেকে পায়ে হেঁটে অসম থেকে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যা পৌঁছনো মুখের কথা নয়। এই প্রসঙ্গে ভবানীপ্রসাদ বলেন, 'রামলালা মন্দির উদ্বোধনের সাক্ষী থাকতে পায়ে হেঁটে বেরিয়ে পড়েছি। ঐতিহাসিক মুহূর্ত নিজের চোখে দেখতে পাওয়াটা ভাগ্যের।'সোমবার জলপাইগুড়ির জাতীয় সড়ক পাহাড়পুর ছেড়ে যাওয়ার সময়ে বৃদ্ধের আশা, তিনি ২১ জানুয়ারিতেই পৌঁছে যাবেন রাম জন্মভূমিতে। প্রায় ১০ দিন ধরে রোজ সারাদিন এবং সন্ধ্যার কিছুসময় হেঁটে চলেছেন তিনি। রাত কাটাতে ভরসা পথের ধারের কোনও মন্দির বা পেট্রোল পাম্প। আবার ভোরের আলো ফুটতেই যাত্রা শুরু।দীর্ঘ প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার রাস্তা! কীভাবে যাবেন তিনি পায়ে হেঁটে? পৌঁছতে পারবেন অযোধ্যায়? রাস্তায় বহু মানুষ তাঁর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ভবানীপ্রসাদ সেসব কিছুই নেননি। তাঁর কথায়, 'আমার যাত্রার গল্প শুনে অনেকেই গাড়িতে লিফট দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। আমি নিইনি। অনেকে জল বা খাবার দিয়েছেন। তবে আশ্রয়ের জন্য বাড়িতে থাকতে বললেও আমি থাকিনি। কারণ, আমি বিশ্বাস করি, কষ্ট করলেই রামকে পাওয়া যায়।' পেশায় গো-পালক ভবানী জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়ে জানান, '২২ জানুয়ারি সারা দেশে অসময়ের দিওয়ালি দেখব আমরা। তখন আমাদের রাম পৃথিবীর বুকে আবার নেমে আসবেন।'
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)