নজরদারি চালাচ্ছিল, ঘুড়ির প্যাঁচে পড়ে কুপোকাৎ পুলিসের ড্রোন!
২৪ ঘন্টা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
বিধান সরকার: শ্রীরামপুরে পৌষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোয় নজরদারি। পৌঁষ সংক্রান্তিতে ঘুড়ি ওড়ানোর রেওয়াজ প্রাচীন। সেই রেওয়াজ চালু আছে হুগলির বিভিন্ন জায়গাতে। সোমবার সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল আকাশ। ঘুড়ির কল খাটিয়ে অপেক্ষা ছিল কখন আকাশ পরিষ্কার হয়। বেলা গড়াতেই রোদের দেখা মেলে। পেট কাটি চাঁদিয়াল, মোমবাতি বগ্গা শ্রীরামপুরের আকাশে ঘুড়ির ঝাঁকের দেখা মেলে। ঘুড়ি ওড়াতে নাইলন সুতো বা চিনা মাঞ্জার ব্যবহার হওয়ায় তা থেকে দূর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।
রাস্তার এপার ওপার বিদ্যুৎ-এর তারে চিনা সুতো আটকে থেকে অনেক দূূর্ঘটনা ঘটেছে অতীতে। শ্রীরামপুর রেল ব্রিজের উপর সুতো জড়িয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছেন অনেকেই। তাই সতর্ক ছিল পুলিস। এদিন পৌষ সংক্রান্তিতে চিনা সুতোর ব্যবহার হচ্ছে কিনা, ঘুড়ি ওড়াতে কেউ নিয়ম ভাঙছে কি না তা দেখতে ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারী চালাচ্ছিল শ্রীরামপুর থানার পুলিস। সেই ড্রোনকেই প্যাঁচে ফেলে ভোকাট্টা করে দেয় ঘুড়ি উড়িয়েরা।শ্রীরামপুর পাঁচ বাবুর বাজার, রেল ব্রীজের উপর ঘুড়ির প্যাঁচ খেলা চলছিল সেই প্যাঁচে পড়ে পুলিসের ড্রোন মুখ থুবরে পরে মাটিতে। ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন বাবলু যাদব। তিনি বলেন,পৌষ সংক্রান্তি উপলউপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো রেওয়াজ আছে। আমরা প্রতি বছর ঘুড়ি ওড়াই। কটন সুতো ব্যবহার করি। কিন্তু অনেকেই আছে চিনা মাঞ্জার সুতো ব্যবহার করে যা থেকে দূর্ঘটনা ঘটে। সচেতন হওয়া জরুরি। নাহলে মানুষের বিপদ হতে পারে।শ্রীরামপুর পুরসভার কাউন্সিলর গৌর মোহন দে বলেন, চিনা সুতোয় এর আগে শ্রীরামপুর দূর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিস আজ ড্রোন উড়িয়ে নজরদারী চালাচ্ছিল কিছু ছেলে সেই ড্রোনকেই প্যাঁচে ফেলে দেয়। আমরা চাই মানুষ সচেতন হোক। ছোট ছেলেরা জানেই না হয়ত কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। যেখানে চিনা সুতো বিক্রি হয় সেই জায়গায় পুলিসের অভিযান চালানো উচিত। রবিবার শেওড়াফুলি বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু চিনা সুতো আটক করে শ্রীরামপুর থানার পুলিস। ঘুড়ির নাইলন সুতো বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।