সন্দীপ প্রামাণিক: কলকাতাতে সোমবার দ্বিতীয় দিন কুয়াশার প্রভাব অনেকটাই বেশি ছিল। দমদমে ৫০ মিটারের নিচে দৃশ্যমান্যতা ছিল। উত্তরবঙ্গে দৃশ্যমান্যতা কুয়াশার জন্য অনেকটাই কম চলছে। আর বাগডোগরা, মালদা, কোচবিহার সব জায়গাতেই কুয়াশার জন্য দৃশ্যমানতা কম ছিল। পাহাড়ি এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দার্জিলিং ২.০ ডিগ্রি,দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়াতে ৬.১ তাপমাত্রা ছিল। এখনও উত্তর-পশ্চিম দিকে হওয়া দাপট রয়েছে।
রবিবার রাত থেকে উত্তর পশ্চিমের হাওয়া দাপট কমতে থাকবে। এর কারণ একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা থাকবে যার অবস্থান ঝাড়খন্ড সংলগ্ন এলাকায় ও এছাড়া একটি উচ্চচাপ বলয় তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে প্রচুর জলীয় বাষ্প প্রবেশ করবে আমাদের রাজ্যে। যার জেরে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা সামান্য বৃষ্টি হবে। ১৭ এবং ১৮ কলকাতা-সহ উপকূলে জেলাগুলিতে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা।পশ্চিমের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি। সোমবার দার্জিলিং এবং কালিম্পং হালকা বৃষ্টি হবে। ১৭ ও ১৮ উত্তর বঙ্গের সব জায়গাতেই বৃষ্টি হবে। ১৮ জানুরায়ি দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ১৯ জানুয়ারি আবার দুই বঙ্গে বৃষ্টি কমে যাবে। এই সিস্টেমের জন্য শীতে বাধার সৃষ্টি হবে এবং নূন্যতম তাপমাত্রা বাড়তে থাকবে। পরশুদিন থেকে কলকাতার তাপমাত্র ১৬-১৭ এ গিয়ে পৌঁছাবে। মেঘলা আকাশ থাকবার জন্য কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কম থাকবে। আগামীকালও দুই বঙ্গে কুয়াশায় প্রচুর দাপট থাকবে। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তাপমাত্রা কমার কোনও সম্ভাবনা নেই।উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে খুব হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে সিকিমে বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার সতর্কতা বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদীয়া এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে।