• মেদিনীপুরে রামমন্দিরের উদ্বোধন, 'রাম কি শুধু একা দিলীপদার'' কটাক্ষ জুন মালিয়ার!
    ২৪ ঘন্টা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
  • চম্পক দত্ত: অযোধ্যার রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগেই এবার তৃণমূল পরিচালিত মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে উদ্বোধন নতুন রামমন্দিরের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা। মেদিনীপুর পুরসভার উদ্যোগে শহরের গান্ধীঘাট এলাকায় রাম, সীতা, হনুমানজির মন্দিরের শুভ উদ্বোধন আজ।এমনিতেই পৌষ সংক্রান্তি উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছে মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন গান্ধীঘাট এলাকায়। তার উপর রামমন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে উপছে পড়া ভিড় গান্ধীঘাট চত্বরে। তবে এই মন্দির নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্কও। পুরসভার উদ্যোগে তৈরি হলেও পুরসভার বিরোধী কোনও কাউন্সিলর এই রামমন্দির নির্মাণের বিষয়টি জানেন না বলেই জানালেন। এমনকি বোর্ড মিটিংয়েও এই বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলেই দাবি তাদের। এই বিষয়ে মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান জানান, একটি জল প্রকল্পের জন্য মন্দিরটি সরানো হয়েছিল। সেই জন্য নতুন করে পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। তবে টাকাটি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কিনা, সেই বিষয়ে তিনি জানান, এতে রাজ্যেরও অংশ রয়েছে।অন্যদিকে এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মেদিনীপুরের সংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, যারা অযোধ্যায় রামমন্দিরের বিরোধিতা করছেন, তারা আবার মেদিনীপুরের রামমন্দির তৈরি করছেন। এর পালটা মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়া বলেন, 'রাম কি শুধু একা দিলীপদার?' এই রামমন্দির উদ্বোধন ঘিরে আজ দিনভর অনুষ্ঠান রয়েছে গান্ধীঘাটে। রামমন্দিরকে ঘিরেই সব অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই পুজাপাঠ শুরু হয়ে গিয়েছে। বেনারসের ১০ জন পুরোহিত মহাযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে উদ্বোধন করবেন মন্দিরের। রাম, সীতা, হনুমানজির মূর্তি সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সন্ধ্যায় গান্ধীঘাটেই আয়োজন করা হবে গঙ্গারতির।ঝাড়গ্রামের নোটা চোনাবেরিয়াতেও রয়েছে একটি শতাব্দী প্রাচীন রামমন্দির। সেই মন্দিরে প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রাম, সীতা ও বজরংবলীর পুজো হয়ে আসছে। এই রামমন্দির, রামজি আশ্রম হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়। ঝাড়গ্রামের নোটা চোনাবেরিয়া গ্রামের রামমন্দির তথা রামজি আশ্রমের সূচনা হয়েছিল ১০০ বছরেরও আগে। ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে অযোধ্যা থেকে ঝাড়গ্রামের নোটা চোনাবেরিয়ায় এসেছিলেন তিলক দাস নামে এক সেবাইত। নোটা চোনাবেরিয়া গ্রামের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে তিনি সেখানে একটি আশ্রম তৈরি করেন।  এরপর তৈরি করেন রামলালার মন্দির ও একটি হনুমান মন্দির। প্রায় এক শতাব্দী ধরে এই রামজি আশ্রমে রামের পুজো হয়ে আসছে। রাম নবমীতে বড় উৎসবও হয় এই আশ্রমে। এর পাশাপাশি,  নদিয়া জেলার মাঝদিয়ায় রয়েছে আরও একটি প্রাচীন রামমন্দির। মাঝদিয়া থেকে ৩ কিমি দূরে শিবনিবাস গ্রামে ২৫৬ বছর আগের প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এক রামমন্দির। ব্রিটিশ শাসনকালে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই রামমন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শিবনিবাস গ্রামের এই রামমন্দিরে রয়েছে কষ্টিপাথরের রাম এবং সীতা। মন্দিরের উচ্চতা ৬০ফুট। কয়েকজন ভক্ত এই রামের সেবায় নিয়োজিত। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)