'ধর্ম মানে সেবা,' রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে পুজো-শান্তিকল্যাণ যজ্ঞ লকেটের!
২৪ ঘন্টা | ১৫ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রামমন্দির উদ্বোধন ও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে চুঁচুুড়া ষন্ডেশ্বর মন্দিরে পুজো যজ্ঞ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। লকেট চট্টোপাধ্যায় বিজেপি নেতা কর্মীদের নিয়ে এদিন সকালে ষন্ডেশ্বরতলা মন্দিরে আসেন। পুজো করেন। পুজো শেষে গঙ্গার ঘাটে শান্তিকল্যাণ যজ্ঞও করেন। সাংসদ বলেন, "রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে ২২ জানুয়ারি। মকরসংক্রান্তির মত পবিত্র দিনে যজ্ঞ করলাম। রামের আশীর্বাদ সবার মাথায় থাকুক। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পাঁচশ বছর পর রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে। সারা ভারতবর্ষ সনাতনী চিন্তা-ভাবনার দিকে ঝুঁকেছে। আমরা মনে করি অশুভশক্তিকে বিদায় করে শুভশক্তিকে নিয়ে আসতে পারব।"তিনি আরও বলেন, "রাম সবার, আমরা প্রত্যেকে বলি সবার মধ্যে ঈশ্বর আছে। শঙ্করাচার্যের মত যারা বলছেন এর মধ্যে রাজনীতি আছে, তারা যেন রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত না হন। আমরা চাইব তৃণমূলও আসুক। এখন কেউ রাম নাম শুনলেই পালিয়ে যায়, জয় শ্রীরাম শুনলে মনে করে খারাপ শব্দ, তাদের কাছে তো এটা মনেই হবে একটা মন্দির প্রতিষ্ঠা নিয়ে এত উদগ্রীবতা কেন! ভারতের সাধুরা সনাতন ধর্মের প্রচার করে গিয়েছেন। আমাদের শিকড় আমাদের ভিতরে রয়েছে। সেগুলোকে আরও বেশি করে অনুভব করা, উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। মনে রাখতে ধর্ম শুধু ধর্মের জন্য না, ধর্ম মানে সেবা। ধর্ম মানলে মানুষকে প্রকৃতভাবে সেবা করতে পারব। এবার থেকে এগিয়ে যাব এবং আমাদের বিচারধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।"
এছাড়া কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য প্রসঙ্গে লকেট বলেন, "সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে যেভাবে ইডি, সিআইএসএফ-এর উপর আক্রমণ করা হয়েছে, যারা তদন্ত করতে যাচ্ছেন, তাদের যদি খুন করার চক্রান্ত করা হয়, তাহলে তদন্তটা কে করবে।তারা তো তাদের কাজটা করবেন। তাই তাদেরও তাদের প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সে জন্যই তারা করছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে এই কথা শোভা পায় না। তিনি যেভাবে দেশের একজন উপরাষ্ট্রপতিকে কু-কথায় ব্যঙ্গ করে দেখিয়েছেন ওনার মুখে দেশ ভক্তির কথা শোভা পায় না।"লকেট চট্টোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছোঁড়েন, "২০১৯ সালে ১৮ জন সাংসদ আমাদের গিয়েছিল। তৃণমূলের অনেকেই হেরে গিয়েছিল। তারা যেতে পারেননি সেটাই তাদের শেষ দেখা হয়েছিল। আমার মনে হয় ২০২৪-এও যে কজন সাংসদ রয়েছেন তৃণমূলের, তাদের ৫০ শতাংশেরও বেশি তৃণমূল সাংসদদের এটাই শেষ অধিবেশন হবে।"