• ‘‌সব দেশ ভারতক সমর্থন করবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই’‌, বলছেন জয়শঙ্কর...
    আজকাল | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • বীরেন ভট্টাচার্য:‌ ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের কূটনৈতিক সংঘাতের মধ্যেই এই প্রথম প্রতিক্রিয়া দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নাগপুরে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ভারতকে সব দেশ সমর্থন করবে, এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর এবং তা নিয়ে মালদ্বীপের মন্ত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সামাজিক মাধ্যমে বয়কট মালদ্বীপ ট্রেন্ড হয়। যদিও এতদিন এনিয়ে সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বিদেশমন্ত্রীর। জয়শঙ্করের বক্তব্য, রাজনীতি, রাজনীতির জায়গায়। তবে তাঁর কথায়, প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হলেও, ভিন দেশে সরকারের পরিবর্তন হলেও, দেশের স্বার্থ সবার প্রথমে। সেই তত্ত্বেই ভারত বিশ্বাসী বলে মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‌সেইজন্যই বলা হয়, রাজনীতি, রাজনীতির জায়গায়। আমি কখনই গ্যারান্টি দিতে পারি না যে, প্রতিদিন, প্রতিটি দেশ, প্রত্যেকটি ব্যক্তি আমাদের সমর্থন করবেন এবং আমাদের সঙ্গে সহমত হবেন।’‌ বিগত ১০ বছরে ভারত সরকার অনেক সাফল্য পেয়েছে এবং সবসময়েই শক্তিশালী যোগাযোগ গড়ে তুলতে সচেষ্ট বলে জানিয়েছেন জয়শঙ্কর। এদিকে, মালদ্বীপ থেকে ভারতকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছে সেদেশের সরকার। ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় আসার পর চীনে গিয়েছিলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজু। সেখান থেকে ফিরেই ভারতকে সময়সীমা দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস মুখপাত্র ডঃ শামা মহম্মদ বলেছেন, ‘‌একদিকে মালদ্বীপ ভারতকে ১৫ মার্চের মধ্যে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বলেছে। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে ২০টির বেশি চুক্তি করেছে মালদ্বীপ। ভারত এভাবে প্রতিবেশীদের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। একদশক আগে ভারত যেমন কূটনৈতিক ক্ষমতার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল, সেই জায়গা তৈরি করতে কংগ্রেসকে প্রয়োজন।’‌ বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা ডঃ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বলেছেন, ‘‌চীন থেকে ফিরে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মুইজু ঘোষণা করেছেন, ১৫ মার্চের মধ্যে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে, অথবা তার ফল ভুগতে হবে। ভারতমাতার মুখে যে কাদা ছুঁড়েছে বেইমান মালদ্বীপ, তার কি লেজ কেটে দেবেন মোদি নাকি রাজীব গান্ধীর মতো সেখানে সেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনাকে মালদ্বীপ পাঠাবেন এবং মুইজুকে সরিয়ে দেবেন?’‌ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালে মালদ্বীপে সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। সেই সময় ভারতের থেকে সাহায্য চান মালদ্বীপের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মাউমুন আব্দুল গায়ুম। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সেনা বাহিনী পাঠান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী এবং অপারেশন ক্যাকটাসের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে নিরাপদে উদ্ধার করে আনে ভারতের তিন বাহিনী। ২০০৪ সালে সুনামি এবং ২০১৪ সালে ডিসেম্বরে জল সঙ্কটেও মালদ্বীপের পাশে দাঁড়ায় ভারত।‌
  • Link to this news (আজকাল)