• প্রখরের ৪০৪ ভাঙল যুবরাজের রেকর্ড! কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে ইতিহাস
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইতিহাসের পাতায় কর্ণাটকের তরুণ ব্য়াটার প্রখর চতুর্বেদী (Prakhar Chaturvedi)। সোমবার ইতিহাস লিখলেন এই ব্য়াটার। অনূর্ধ্ব-১৯ কোচবিহার ট্রফির ফাইনালে ( Cooch Behar Trophy Final 2024) প্রখর সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে দিলেন। চারদিনের এই প্রতিযোগিতায় প্রখরের ব্য়াট থেকে এল অপরাজিত ৪০৪ রান। আর এই ইনিংস তিনি সাজালেন ৪৬টি চার ও তিনটি ছক্কায়। ২৫৬ রানে অপরাজিত থেকে এদিন ব্য়াটিং শুরু করেছিলেন প্রখর। বাকিটা এদিন করলেন তিনি। তাঁর ব্য়াটে ভর করে কর্ণাটক আট উইকেটে ৮৯০ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে। প্রথম ইনিংসে ৫১০ রানের লিড নেওয়ার সুবাদে কর্ণাটক অমীমাংসিত ম্যাচ জিতে যায়। প্রথম ইনিংসে ৩৮০ রানেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল মুম্বই দল।কর্ণাটক শিবমোগায় প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আয়ূষ মাত্রে ১৪৫ রানের ইনিংসে কর্ণাটক ৮০ রান করতে সমর্থ হয়। মনে হয়েছিল যে, মুম্বই অ্যাডভান্টেজে আছে। কিন্তু সব হিসেব একাই বদলে দেন প্রখর। কর্ণাটকের হয়ে দুরন্ত বল করেন হার্দিক রাজ। ৮০ রান দিয়ে তুলে নেন চার উইকেট। সম্রাট এন ও সমিত দ্রাবিড়ও নেনে দুই উইকেট। কিংবদন্তি ক্রিকেটার ও রোহিত শর্মাদের কোচ রাহুল দ্রাবিড়েরই সুপুত্র সমিত। প্রখর ছাড়াও কর্ণাটকের হয়ে দারুণ ব্য়াট করেছেন হর্ষিল ধর্মানি। কিন্তু প্রখরের ধ্বংসলীলার সামনে আর কোনও কিছুই আলোচনার কারণ হতে পারেনি। আর এই ট্রফিতে এর আগে কোনও ক্রিকেটার ৪০০ করতে পারেননি, করে দেখালেন প্রখর। তিনি হেসে খেলে ৫০০ রানও হয়তো করে দিতে পারতেন। একশো ওভার ব্য়াট করেছেন তিনি। তাঁর উইকেট নেওয়ার জন্য় মুম্বইয়ের বোলাররা সবরকম চেষ্টা করেও ব্য়র্থ হন।প্রখর ভেঙে দিয়েছেন যুবরাজ সিংয়ের রেকর্ড। ভারতের কিংবদন্তি ক্রিকেটার ১৯৯৯ সালে এই ট্রফিতে পঞ্জাবের হয়ে বিহারের বিরুদ্ধে ৩৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। সেই বিহার দলে ছিলেন ভারতের জোড়া বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক এমএস ধোনিও। ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ স্তরে প্রিমিয়াম ঘরোয়া টুর্নামেন্টের কথা যদি বলা হয়, তাহলে কিন্তু সবার আগে থাকবেন বিজয় জোল। ২০১১-১২ সালে তিনি মহারাষ্ট্রের হয়ে অসমের বিরুদ্ধে ৪৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। প্রখর সার্বিক ভাবে দুয়ে থাকবেন। কোচবিহারের মহারাজার নামে নামকরণ করা হয়েছে কোচবিহার ট্রফির। ইতিহাস বলছে ১৯৪৫-৪৬ মরসুমে ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে এই ট্রফির আর্বিভাব। ১৯৮৬-৮৭ সাল পর্যন্ত এটি স্কুল প্রতিযোগিতাই ছিল, পরে অনূর্ধ্ব-১৯ ফরম্যাটে জাতীয় প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

     
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)