জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রেমিকার হয়ে পরীক্ষা দিয়ে গিয়ে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। প্রেমিকার হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য রীতিমতো ছদ্মবেশ ধারণ করেন তিনি। প্রেমিকার মতোই সাজগোজ করেন। এমনকি ভুয়ো ভোটার ও আধার কার্ডও বানিয়ে ফেলেন প্রেমিকা পরমজিৎ কউরের নামে। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাঁর সব চেষ্টা-ই জলে যায়। পরীক্ষা দেওয়ার মাধপথেই ধরা পড়ে যান তিনি।তাজ্জব করা এই ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবে। ধৃত প্রেমিকের নাম আংরেজ সিং। মাথায় টুপি, কপালে লাল টিপ, চোখে আইশ্যাডো, আইলাইনার, ঠোঁটে লিপস্টিক, হাতে চুড়ি। চুড়িদার পরে সেজেগুজে রীতিমতো মেয়ে হয়ে ওঠার চেষ্টা। এভাবেই সেজেগুজে প্রেমিকা পরমজিৎ কউরের হয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিলেন আংরেজ সিং। কিন্তু শেষমেশ পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতর হাটে হাঁড়ি ভেঙে যায়। তৈরি হয় এক নাটকীয় পরিস্থিতি। পাঞ্জাবের ফরিদকোটের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।গত ৭ জানুয়ারি কোটকাপুরার DAV পাবলিক স্কুলে বাবা ফরিদ ইউনিভার্সিটি অফ হেল্থ সায়েন্সেস আয়োজিত মাল্টি-পারপস স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষার সিট পড়েছিল। পাঞ্জাবের ফজিলকার বাসিন্দা আংরেজ সিং ঠিক করেন, তিনি তাঁর প্রেমিকা পরমজিৎ কউরের ছদ্মবেশে পরীক্ষা দিতে বসবেন। যেমন ভাবা তেমন কাজ। চুড়িদার, লাল চুড়ি, লাল টিপ, লিপস্টিক পরে সেজেগুজে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে আসেন আংরেজ। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হতেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। এই ঘটনায় পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।পুলিস জানিয়েছে, চেষ্টার কোনও কসুর রাখেনি আংরেজ সিং। নিজেকে পরমজিৎ প্রমাণ করতে ভুয়ো ভোটার ও আধার কার্ডও বানিয়েছিলেন আংরেজ সিং। আপাতদৃষ্টিতে একেবারে ফুলপ্রুফ প্ল্যান। কিন্তু যখন তাঁর আঙুলের ছাপ আসল পরীক্ষার্থী পরমজিৎ কউরের সঙ্গে বায়োমেট্রিক ডিভাইসে মিলল না, তখনই গোটা কারিকুরির পর্দাফাঁস হয়ে যায়। এই ঘটনায় একদিকে যেমন পুলিসে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তেমনই আসল পরীক্ষার্থী পরমজিৎ কউরের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দুজনের বিরুদ্ধেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।