'কেউ ছেড়ে গেলে কিসসু যায় আসে না'! বিস্ফোরক শামির নিশানায় কে'
২৪ ঘন্টা | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত ১৫ ডিসেম্বর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) বিরাট ঘোষণায় চমকে দিয়েছিল আইপিএল অনুরাগীদের! ক্রোড়পতি লিগের অন্য়তম সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি জানিয়েছিল যে, নীল সাম্রাজ্য়ে এবার রোহিত যুগের অবসান! মুম্বইয়ের মসনদে এখন থেকে হার্দিক। চব্বিশের আইপিএলে তাঁর নেতৃত্বেই খেলবে পাঁচবারের চ্য়াম্পিয়ন টিম। তার আগে গুজরাত টাইটান্স (Gujarat Titans) থেকে হাইজ্য়াক করে, হার্দিককে মুম্বইতে এনে আরও বড় চমক দিয়েছিল মুম্বই। অভিষেকেই দলকে চ্য়াম্পিয়ন করা হার্দিকের চলে যাওয়ায় কোনও প্রভাব পড়বে না। অকপটে জানিয়ে দিলেন হার্দিকের জাতীয় দলের সতীর্থ ও গুজরাতের তারকা বোলার মহম্মদ শামি (Mohammed Shami)। শামি সাফ বলে দেন যে, নতুন অধিনায়ক শুভমন গিলও (Shubman Gil) হয়তো আগামী দিনে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যেতে পারেন।এক স্পোর্টস ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামি খোলাখুলি বলেছেন, ' দেখুন কেউ ছেড়ে গেলে কিস্যু যায় আসে না। হার্দিক ছেড়ে যেতে চেয়েছিল, তাই চলে গিয়েছে। গুজরাতের অধিনায়ক হিসেবে ও খুব ভালো করেছে। দু'বার দলকে ফাইনালে তুলেছে। একবার চ্য়াম্পিয়ন করেছে। ওর আজীবন গুজরাতের হয়ে খেলার কথা ছিল না। শুভমন গিলও অধিনায়ক হিসেবে অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। হয়তো অন্য় কোনও ফ্র্য়াঞ্চাইজিতে খেলবে ভবিষ্য়তে। আপনি কাউকে আটকাতে পারবেন না। এটা খেলার অঙ্গ।'আইপিএলের দলবদলের বাজারে মুম্বইয়ের ট্রেডিংয়ে সকলের চোখ কপালে উঠেছিল। তারা ১৫ কোটি টাকারও বেশি অর্থ খরচ করে গুজরাত টাইটান্স থেকে হার্দিককে ফিরিয়েছিল দলে। নীতা আম্বানির ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে সিভিসি ক্যাপিটাল পার্টনার্সের নগদ অর্থেই হয়েছিল রেকর্ড লেনদেন। ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত মুম্বইয়ে খেলা হার্দিককে ফিরিয়েই মুম্বই কোথাও বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, নেতৃত্বের ব্য়াটন উঠতে চলেছে দেশের নক্ষত্র অলরাউন্ডারের হাতে। আর বাস্তবে ঠিক সেটাই ঘটে। ২০২২ সালে গুজরাতের আইপিএল অভিষেক হয়। আর শুরুতেই হার্দিকের টিম চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০২৩ সালে হার্দিকের দল রানার্স হয়েছিল। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে গুজরাতকে হারতে হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। হার্দিক গুজরাতের হয়ে ৩০ ইনিংস খেলে ৮৩৩ রান করেছেন। তাঁর গড় ৪১.৬৫। স্ট্রাইক রেট ১৩৩.৪৯। ৮.১-এর ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১১ উইকেটও। । ২০১৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত হার্দিক খেলেছেন মুম্বইয়ের হয়ে। নীল জার্সিতে চারবার (২০১৫, ২০১৭, ২০১৯ ও ২০২০) জিতেছেন খেতাব। অন্যদিকে শামি বিশ্বকাপের পর থেকে আর মাঠে নামেননি। তাঁর গোড়ালিতে চোট রয়েছে। রিহ্য়াব চলছে শামির। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আসন্ন পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্য়াচের দল ঘোষণা করেছে ভারত। কিন্তু সেই দলেও নাম নেই শামির। গত ৯ জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়াসম্মান প্রদান করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শামির হাতে তুলে দিয়েছেন অর্জুন পুরস্কার। বিসিসিআই কেন্দ্রকে বিশেষ অনুরোধ করেছিল যাতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্রীড়াসম্মানের জন্য শামিকে ভাবা হয়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের অনুরোধ রাখল কেন্দ্র। বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফর্ম করেই শামি নিশ্চিত করেছেন অর্জুন।প্রথম চার ম্যাচ তাঁকে খেলায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ৭ ম্যাচে তিনি একাই ২৪ উইকেট তুলে নেন আগুনে পারফরম্যান্সে। হয়েছেন বিশ্বকাপের সর্বাধিক উইকেট শিকারিও। শামি মারাত্মক লাইন-লেন্থ-সুইং বিপক্ষের কাছে ছিল ত্রাসের বিজ্ঞাপন। শামির মাঠে নামার অপেক্ষায় টিম।