• জিমে ভূত' কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, কেউ নিজের গলা নিজেই টিপছেন...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জিমে ভূত? ব্যাপারটা প্রায় সেরকমই। একটি জিমের বাইরের শাটারে পোস্টার পড়েছে এই মর্মে। কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের এক জিমের বাইরে শাটারে পোস্টার পড়েছে যে, সেখানে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরবর্তী আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত জিমটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে। 

    তবে, নোটিশ টাঙিয়েই ক্ষান্ত হয়নি জিম কর্তৃপক্ষ। তারা কলকাতার 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালে'র সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দেবরাজ সান্যালের নেতৃত্বে এই 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল' আসলে পাঁচজনের একটি দল। যাঁদের 'ভূতের গোয়েন্দা'ও বলা চলে। দেবরাজ ছাড়াও এই দলে আছেন ঈশিতা দাস সান্যাল, সোমাঞ্জন মুখোপাধ্যায়, রাজ সিমলাই, আয়ুষ মজুমদার। কী বলছে এই 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল'?'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালের' নেতা দেবরাজ জানান, 'জিমের তরফে প্রায় সপ্তাহখানেক আগে আমাদের কাছে একটা ফোন আসে যে, একটি জিম-কাম-সাঁলোয় কিছু অন্যরকম অ্য়াক্টিভিটি দেখা যাচ্ছে। যাঁরা সেখানে যাচ্ছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই খুব অদ্ভুত আচরণ করছেন। মানে, তাঁরা যেন কেউ নিজের মধ্যে নেই--কেউ নিজের গলা নিজেই টিপছেন, কেউ অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন, কেউ যেন সম্পূর্ণ অন্য মানুষ হয়ে যাচ্ছেন, একটা ভিন্ন কেউ যেন তাঁদের মধ্যে ঢুকে পড়ছে।'দেবরাজ  যোগ করেন, 'আমরা এরকম ফোন পেয়েই থাকি। তাই প্রথমে খুব একটা আলোড়িত হইনি। তবে, ওদের কাছ থেকে কিছু ভিডিয়ো চেয়ে পাঠাই। ওরা অনেক ভিডিয়ো পাঠান। সিসিটিভি ফুটেজও। সেই সব দেখে মনে হল , আমাদের ওখানে যাওয়া উচিত। গেলাম এবং ইনভেস্টিগেশন শুরু করলাম'।কিছু পেল কি সেখানে 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল'?'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালে'র ব্যাখ্যা-- 'আমরা প্রথম দিনে প্রাথমিক ইনভেস্টিগেশন করি। ওই বিল্ডিংয়ের ওপর তলায় সেলুন, নীচের তলায় জিম। জিমেই সমস্যা। তা, জিমে আমরা সেরকম কিছু অবশ্য ফিল করিনি। তবে খেয়াল করলাম, জিমের ভেন্টিলেশনে একটা প্রবলেম আছে। এর ফলে ওখানে টক্সিক গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।'তবে 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারাল' এখনও যেহেতু তদন্ত শেষ করতে পারেনি, তাই এ নিয়ে তারা কোনও সিদ্ধান্ত করতে পারছে না। এটুকু জানিয়েছে যে, এই সব কারণে জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টা নিয়ে একটা আতঙ্ক তৈরি হয়ে আছে এলাকায়। 'ডিটেকটিভস অফ সুপারন্যাচারালে'র পর্যবেক্ষণ হল-- পুরো বিষয়টাই ঘেঁটে আছে। জিমের এই ধরনের ঘটনার ভিডিয়ো কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেন। তারপর বিষয়টি নিয়ে সাড়া পড়ে যায়। ইনভেস্টিগেশন শুরু হয়। তবে ওখানকার রাজনৈতিক সার্কিটের কিছু লোকজন এই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উৎসাহী নন। স্থানীয় লোকজন ও পুলিস যদিও তাঁদের সাহায্য করেছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে খুব চর্চা-তদন্ত হোক, তেমনটা মনে হয় ওখানকার অনেকেই চায় না। তাই ব্যাপারটি বিশ বাঁও জলেই। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)