পুরসভা হলেও নেই পরিকাঠামো! পাইপ ফেটে ২০ দিন ধরে বন্ধ পানীয় জল...
২৪ ঘন্টা | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
শ্রীকান্ত ঠাকুর: বুনিয়াদপুর পুরসভার শিববাড়ি এলাকায় ড্রেনের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে পানীয় জলের পাইপ ফেটে প্রায় ২০ দিন ধরে বন্ধ পানীয় জল পরিষেবা। পানীয় জলের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা ২০ দিন বন্ধ থাকার পরেও পুরসভা দ্রুত গতিতে তার সমাধানের চেষ্টা করছে না বলে অভিযোগ। অবশ্য পুরসভা থেকে বলা হচ্ছে যে সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুরসভা। তবে রাতারাতি বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয় বলেও দাবি করছেন পুরসভার চেয়ারম্যান অখিল বর্মন। আর পানীয় জল না পেয়ে সমস্যায় পড়েছে এলাকাবাসী।এমনিতেই নিকাশি নালাবিহীন বুনিয়াদপুর পুরশহর। পঞ্চায়েত এলাকাকে বুনিয়াদপুর গ্রামের সঙ্গে যুক্ত করে পুরসভা গঠন করা হয়েছিল। ফলে পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও সেভাবে পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি। যদিও বা প্রশাসনের উদ্যোগে এতদিন পর বর্ষার জল নিকাশির জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়, কিন্তু তা নিতেই নানা ধরনের সমস্যা সামনে আসতে শুরু করে। আর্থ মুভার দিয়ে ড্রেন তৈরির জন্য মাটি খনন কিছুটা হওয়ার পরই ভেঙে যায় মাটির নীচে থাকা পিএইচই দফতরের জলের পাইপ লাইন।পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে শিবপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জনবহুল এলাকায় প্রায় ২০ দিন আগে খোঁড়া হয়েছিল এই ড্রেন। তাতেই ফেটে যায় পানীয় জলের পাইপ লাইন। অভিযোগ, ফেটে যাওয়া পানীয় জলের পাইপ এখনও মেরামতি হয়নি। ওদিকে ড্রেনের জন্য তোলা মাটি এলাকায় স্তূপাকৃতি হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর সহ পথ চলতি সাধারণ মানুষ চরম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ড্রেনের পেছনে থাকা দোকানদাররাও বিপাকে। এলাকা সহ আশেপাশের অন্যান্য ওয়ার্ডেও পানীয় জলকষ্ট দেখা দিয়েছে। ড্রেনে জমে থাকা জল থেকে মশার উপদ্রব বেড়েছে। পাশাপাশি এলাকায় পুরসভার পক্ষ থেকে পানীয় জলের কোনও বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান। প্রতিবছর শিবপুর উত্তরপাড়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় ১০০ পরিবার বর্ষার জলমগ্ন হয়ে পড়ে। এলাকার সেই জল অপসারণের জন্যই পুরসভার তরফে ড্রেন খোঁড়ার কাজ শুরু হয়। শিবপুর ঈদগাহ থেকে টাঙ্গন নদী পর্যন্ত সেই ড্রেন নিয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কিছুটা মাটি খোঁড়ার কাজ করার পরই, মাটির ভিতরে থাকা পানীয় জলের পাইপ ফেটে যায়। এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ফেটে যাওয়া পাইপের মুখে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ৬ নম্বর ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় পাইপ যোগে পানীয় জল বন্ধ হয়ে পড়েছে।