শাহজাহানের বাড়ির চারদিকে বসল সিসিটিভি ক্যামেরা, আজই মামলায় নতুন মোড়!
২৪ ঘন্টা | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
বিমল বসু: সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের উপরে হামলার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১২ দিন। তার পরে এখনও অধরা ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তিনি যাতে বাংলাদেশ পালিয়ে যেতে না পারেন তার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট সার্কুলার জারি করেছে ইডি। পাশাপাশি তার সন্ধানে এলাকায় গাড়ি থামিয়েও তল্লাশি করছে পুলিস। তার পরেও শাহজাহানের টিকির দেখা নেই। এর মধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শেখ শাহজাহানের বাড়ির চারপাশে বসানো হল ৩টি সিসিটিভি ক্যামেরা। গতকালই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেই নির্দেশ মতো তড়িঘড়ি বসানো হল ক্যামেরা।
গত দুদিনের পর আজও সন্দেশখালি মামলা উঠছে হাইকোর্টে। পুলিসের নিষ্কৃয়তা নিয়ে আদালতের তোপের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। কেন লঘু ধারা দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। আদালতের চাপে শেষপর্যন্ত ৩০৭ ধারা যুক্ত করছে রাজ্য। মামলার তদন্ত সিবিআই তদন্তে চেয়েছে ইডি। আজ ওই মামলায় চূড়ান্ত রায় দিতে পারে আদালত।আদালতে ইডি জানিয়েছে সন্দেশখালি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিত ইডি ও রাজ্য পুলিসের দায়ের করা এফআইআর সিবিআইকে দেওয়া হোক। কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা বলেছে, এই মামলায় রাজ্যসরকারের উপরে তাদের আস্থা নেই। রাজ্যসরকার পক্ষপাতদুষ্ট। মামলায় সঠিক ধারা দেওয়া হয়নি, জনাতা তাদের হাত থেকে নথি ছিনিয়ে নিয়েছে, মারধর করা হয়েছে, পুলিসের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। ওই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বক্তব্য, একটি ঘটনার উপরে নির্ভর করে রাজ্য সরকারকে পক্ষপাতদুষ্ট বলার কোনও কারণ নেই। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন দেখার বিষয় ঘঠনায় সিবিআই তদন্তের আদেশ দেয় কিনা।এখনওপর্যন্ত সন্দেশখালি ঘটনায় পুলিসের হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন। সোমবার অধরা শাহজাহানের ওকালতনামা ছাড়াই আদালতে সওয়াল করতে ওঠেন তার আইনজীবী বিশ্বরূপ মুখোপাধ্যায়। তবে তাঁর একটি আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি। সওয়ালের আগেই অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তর সঙ্গে পরামর্শ করছিলেন বিশ্বরূপবাবু। বিচারপতি বলেন, আপনি রাজ্যের আইনজীবী নন, কেন এজিকে বিরক্ত করছিলেন। এজলাসে কাউকে আপনি প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন না। সবচেয়ে বড় কথা আপনার মক্কেল কেন আত্মসমর্পণ করছে না?শেখ শাহজাহানের আইনজীবী বিচারপতি ওই কথা নিয়ে বিশ্বরূপ বলেন, আমরা এখনও ইসিআইআর দেখে উঠতে পারিনি। অর্থাত্ ইডির এফআইআরে আমার মক্কেলের নাম আছে কিনা, কী অভিযোগ সেখানে করা হয়েছে তা দেখে উঠতে পারিনি। আমাকে বলার সুয়োগ দিতে হবে। আগামিকাল এনিয়ে আবেদন করতে হবে। তার পর বিষয়টি বিচার করে দেখা হবে।