জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে যারা কাজ করে তারাই এখন 'সংহতি মিছিল' করছে, সরব দিলীপ ঘোষ
২৪ ঘন্টা | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
অয়ন ঘোষাল: আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে চলেছে। ওই অনুষ্ঠানে যাচ্ছে না তৃণমূল-সহ বহু বিরোধী দল। আর ওই দিনই কলকাতায় সংহতি মিছিল করার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাজরা থেকে মিছিল শুরু হয়ে তা শেষ হবে পার্ক সার্কাসে। সেখান একটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এনিয়ে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বুধবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এনিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সব রামের ইচ্ছা। যারা চিরদিন জাতীয় সংহতির বিরুদ্ধে কাজ করে এসেছে, তারাই সংহতি মিছিল করছে। এর থেকে বড় বিড়ম্বনা আর কী হতে পারে। দেশে বা কেন্দ্রে যা অনুষ্ঠান হয়, তার সবসময় উনি বিরোধিতা করে এসেছেন। এটাকেই উনি রাজনীতি মনে করেন। তাই আজ উনি এমন জায়গায় পৌঁছে গেছেন, তার আলাদা জাতীয় সঙ্গীত চাই, আলাদা জাতীয় পতাকা চাই, আলাদা কোর্ট চাই, আলাদা পার্লামেন্ট চাইবেন। যার চিন্তাভাবনার মধ্যে সংহতি নেই, তিনি যতই সংহতি যাত্রা করুন, কিছু হবে না।রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার কথাও টেনে আনেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপি নেতা বলেন, রামমন্দির কেবল বিজেপির নয়। সারা দেশের। গোটা বিশ্বের। এটা ৫০০ বছরের স্বভিমান। তার একটা সফল প্রতিফলন ঘটতে চলেছে ওই দিন। রাহুল গান্ধী সারা দেশ ঘোরেন, দর্শন করেন, আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু রামমন্দির হচ্ছে অয়োধ্যায়। উনি মণিপুরে কেন ঘুরে বেড়াচ্ছেন বুঝতে পারছি না। উনি কামাখ্যা দর্শন করুন। দ্বাদশ জ্যোতি লিঙ্গ ঘুরুন। তাহলে আর কোটের ওপর ওনাকে পৈতে পরে কিছুর প্রমাণ দিতে হবে না।রেলের সম্প্রসারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ভেঙে ফেলতে বলেছে রেল। এনিয়ে গতকাল তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, রক্ত থাকতে স্কাইওয়াক ভাঙতে দেব না। পাশে জমি আছে সেটা নিক রেল। পাশাপাশ আলিপুর বডিগার্ডলাইন্স ভেঙে রেল চালানো যাবে না।মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্যেরও সমালোচনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রেলের ৬০টা প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে আটকে আছে উনি জমি দিচ্ছেন না বলে। বারাসাতের কাছে এসে জাতীয় সড়ক আটকে গেছে। রাস্তা, রেল কিছুই করতে দেবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনোদিন উন্নয়ন নিয়ে ভাবেন না। শুধু রাজনীতি নিয়েই ভাবেন।সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহাজাহানের ফেরার হওয়া নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, আদালত বলুক আর না বলুক, শাহাজাহান কে এক্ষুনি গ্রেফতার করা উচিত। ও বহু লোককে খুন করেছে। বহু অত্যাচার করেছে। লুঠপাট করেছে। মুক্তাঞ্চল তৈরি করেছে। সমাজে এই ধরনের লোক থাকলে কোনোদিন মানুষ নিশ্চিন্তে ঘোরাফেরা করতে পারবে না