• পুরীতে জগন্নাথ দর্শন আরও সহজ, খুলে গেল স্পেশাল করিডোর, ওড়িশায় আজই যেন '২২ জানুয়ারি'
    আজ তক | ১৭ জানুয়ারি ২০২৪
  • বাঙালিদের সমুদ্র মানেই দিঘা-পুরী। আর পুরী মানে জগন্নাথ মন্দির। এই মন্দিরকে কেন্দ্র করেই নতুন করে সেজে উঠছে পুরী। অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের মতোই প্রস্তুতি নিচ্ছে ওড়িশা সরকার। 

    বারাণসীর কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং উজ্জয়নীর মহাকাল মন্দির করিডোরের আদলে জগন্নাথ মন্দির করিডোর সাজানো হয়েছে। বুধবার এই করিডরের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক। বিশ্ব থেকে অতিথিদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৮০০ কোটি টাকা খরচ করে এটি তৈরি করা হয়েছে।

    ওড়িশার মুখ্যসচিব পিকে জেনা জানিয়েছেন, বুধবার বিকেলে প্রকল্পের উদ্বোধন। বুধবার সরকারি ছুটিও ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।

    'পুরীর জগন্নাথ মন্দির চারধামের অন্যতম'
    জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশে প্রায় ৪০০ মিটার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। চারধামের মধ্যে অন্যতম ওড়িশার পুরীর জগন্নাথ মন্দির।

    'মাসজুড়ে প্রতিদিন ১০ হাজার ভক্তকে আমন্ত্রণ জানানোর লক্ষ্য'
    এক মাস ধরে প্রতিদিন মন্দিরে প্রায় ১০ হাজার ভক্ত আনার পরিকল্পনা ওড়িশা সরকারের। ২২ জানুয়ারি থেকে পুরীতে প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুরসভা থেকে সহজে ওড়িশা যাতাযাতের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জেলা কালেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য বিশেষ বাজেটও বরাদ্দ করা হয়েছে।

    'তিন বছরে প্রকল্প'
    গোটা পুরী ফুল ও আলোর মালায় সেজে উঠেছে। তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে জগন্নাথ মন্দিরের আশেপাশে দর্শনার্থীদের জন্য পার্কিং এরিয়া, সেতু, রাস্তা, তীর্থস্থান, টয়লেট সুবিধা, ক্লোকরুম, টয়লেট এবং অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিন বছর ধরে এই কাজ চলেছে। তবে এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে জমি অধিগ্রহণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

    'আগে ৩০ মিনিট লাগত, এখন ১০ মিনিট'
    জগন্নাথ মন্দিরের চারপাশে ১৯টি মঠ রয়েছে। এগুলির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম। এক মাসের মধ্যেই প্রায় ২৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে সিএম পট্টনায়েক এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। আগে মন্দিরে পৌঁছতে ৩০ মিনিটের বেশি সময় লাগত। এখন পুরী বাইপাস রোড দিয়ে একটি নতুন রুট তৈরি করা হয়েছে। এই কারণে ট্রাভেলের সময় প্রায় ১০ মিনিটে নেমে এসেছে। 

    উদ্বোধনের পর পরিক্রমা করবেন নবীন পট্টনায়েক
    করিডর উদ্বোধনের আগে তিন দিনব্যাপী যজ্ঞ হয়েছে। বুধবার বিকেলে তা শেষ হবে। দুপুর দেড়টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে 'হবনে' 'পূর্ণাহুতি' দেবেন পুরীর গজপতি মহারাজ দিব্যসিংহ দেব। দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে পুরোহিত, সাধু ও অন্যান্য প্রতিনিধিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মন্দির প্রদক্ষিণ করবেন।

    'কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীতে পুরী'
    ইতিমধ্যে, পুরীতে ৭০ প্লাটুন পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ডিজিপি অরুণ কুমার সারঙ্গী জানিয়েছেন, সিসিটিভি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।  
    'রেল স্টেশন পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে'
    জগন্নাথ পুরী রেলওয়ে স্টেশনও পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে এটি পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০২৫ সালের জুলাই মাসে সেই কাজ শেষ হবে। স্টেশন নির্মাণে কলিঙ্গ মন্দিরের আদল ব্যবহার করা হচ্ছে।
  • Link to this news (আজ তক)