জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমেই রামলালার প্রতিষ্ঠা। তার আগে আজ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান। আজ রয়েছে মূর্তি প্রবেশ পরিসর পুজো। অযোধ্যা রামমন্দিরে আজই আসছে রামলালার মূর্তি। পাশাপাশি, আজই রয়েছে জলযাত্রা, তীর্থ পুজো, ব্রাহ্মণ-বটুক-কুমারী-সুভাষিনী পুজো, বর্ধিনী পুজো, কলসযাত্রা এবং প্রাসাদ চত্বরে রামলালার মূর্তির প্রদক্ষিণও। এদিকে তার আগেই উঠল 'প্রাণপ্রতিষ্ঠা'কে নিষিদ্ধ করার দাবি। রামমন্দিরে 'প্রাণপ্রতিষ্ঠা'র অনুষ্ঠানকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দাখিল হল জনস্বার্থ মামলা। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের বাসিন্দা ভোলা দাস নামে এক ব্যক্তি এই জনস্বার্থ মামলার পিটিশন দাখিল করেছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টে। দেশের ৪ শঙ্করাচার্য অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার 'প্রাণপ্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠানে আপত্তি জানিয়েছেন। বয়কট করেছেন 'প্রাণপ্রতিষ্ঠা'র অনুষ্ঠান। সেই ঘটনাকেই উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ভোলা দাস। পিটিশনে বলা হয়েছে, "২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় একটি ধার্মিক অনুষ্ঠান রয়েছে। নির্মীয়মাণ মন্দিরে রামলালার প্রতিষ্ঠা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য়নাথ এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন। কিন্তু শঙ্করাচার্যদের এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে আপত্তি আছে। পুস মাসে কোনও ধার্মিক অনুষ্ঠান হয় না। মন্দিরের নির্মাণকাজও এখনও অসম্পূর্ণ। অসম্পূর্ণ মন্দিরে কোনও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা যায় না।" পিটিশনে আরও বলা হয়েছে, এই 'প্রাণপ্রতিষ্ঠা' অনুষ্ঠান সনাতন ধর্ম বিরোধী। বিজেপি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতেই এই সময় তড়িঘড়ি অযোধ্যা রামমন্দিরে এই প্রাণপ্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। যদিও অযোধ্যা রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পিছনে কোনও রাজনীতি নেই, 'ধর্মনীতি' রয়েছে বলে দাবি করেছেন রাম জন্মভূমি মন্দিরের প্রধান পুরোহিত আচার্য সত্যেন্দ্র দাস। উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পর ২৩ জানুয়ারি থেকেই সর্বসাধারণের দর্শনের জন্য খুলে যাবে অযোধ্যা রামমন্দির। রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠা উপলক্ষে ইতিমধ্যেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরায় ঘিরে ফেলা হয়েছে রামমন্দির ও আশপাশের এলাকা। মোতায়ের রয়েছে উত্তরপ্রদেশের বিশেষ পুলিসবাহিনী। কড়া তল্লাশি না করে মন্দির এলাকায় কাউকেই ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না। গোটা জেলাকে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও অযোধ্যা জেলা- ৩ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অযোধ্যা যাওয়ার সব রাস্তাকে গ্রিন করিডোর করা হয়েছে। গোটা জেলা জুড়ে বসানো হয়েছে মোট ১০ হাজার সিসিটিভি। AI-তে চলবে এই সিসিটিভি। অযোধ্যার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা সরয়ূ নদীতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নদীতে থাকবেন এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ-এর কর্মীরা।