বিজয় নামে ওই অটো চলকের ঘর তল্লাশি করে উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও স্ত্রীর কাটা মাথা। পুলিসের জেরায় বিজয় স্বীকার করেছে স্ত্রী পুস্পলতাকে সন্দেহ করত সে। এনিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই ঝগড়াঝাঁটি হতো। মঙ্লবার সকালে সে পুস্পলতাকে নিয়ে যায় তার বোনের কেনা নতুন ফ্ল্যাটে। স্ত্রীকে বিজয় বলে নতুন ঘরে উঠবে বোন তাই ঘরটা একটু সাফসুতরো করতে হবে। ওই অছিলায় বোনের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধারাল অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর উপরে চড়াও হয়। প্রথমে ছুরি মেরে স্ত্রীকে খুন করে। তার পর ভারী অস্ত্র দিয়ে পুস্পলতার মাথা কেটে ফেলে। তার পর কাটা মাথা ঘরের মধ্য়ে কাটা মাথা রেখেই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ে। তার জামা কাপড়ে রক্ত দেখেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তারাই খবর দেন পুলিস।খবর পেয়ে পুলিস ঘটনাস্থলে এসে খুন ব্যবহৃত অস্ত্র ও কাটা মাথাটি উদ্ধার করে। মৃতদেহ ময়না তদন্তে জন্য পাঠিয়ে দেয়। পুলিস সূত্রে খবর, ১৫ বছর আগে পুস্পলতার সঙ্গে বিয়ে হয় বিজয়ের। তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি বিউটিশান কোর্স করছিল পুস্পলতা। কিন্তু বিজয়ের সন্দেহ ছিল অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছে পুস্পলতা।পুলিস জানিয়েছে, একবার ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিল বিজয়। সেবার বিজয়ের নামে নিখোঁজ ডাইরি করে পুস্পলতা। ২০১৪ সালে স্থানীয় থানায় বিজয়ের নামে মারধরের অভিযোগ করেছিল পুস্পলতা। এভাবেই চলছিল। শেষপর্যন্ত এমন ভয়ংকর কাণ্ড।